২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৪২

ঈশ্বরের নির্দেশে ধর্ষণ করেন ফলাহারি বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গুরমতি রাম রহিমের পরে সামনে এসেছে রাজস্থানের ফলাহারি মহারাজের ঘটনা। ৭০ বছর বয়স্ক কৌশলেন্দ্র প্রপণ্যাচারী যিনি ফলাহারি নামেই অধিক পরিচিত, তিনি তার একনিষ্ঠ ভক্তের মেয়েকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ দায়ের হতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়ে পড়েন কৌশলেন্দ্র। তবে পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এবেলার খবরে বলা হয়েছে, ২১ বছরের ওই তরুণী যে অভিযোগ করেছেন, তাতে ধর্ষণের রাতের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সেই রাতে নিজের জিভে ওম লিখে ফলাহারি মহারাজ ওই তরুণীকে সেটি চেটে নিতে বলেন। মহারাজের দাবি ছিল, এভাবেই তিনি জ্ঞান বিতরণ করেন! তারপরই ওই তরুণীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি এবং ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময়ে ‘বাবার’ দাবি ছিল, তিনি যা করছেন তা ঈশ্বরের নির্দেশে। তরুণী জানিয়েছেন, সেই সময় তার মাথা একেবারে খালি হয়ে গিয়েছিল। মহারাজ বলে যাচ্ছিলেন, তিনি অনেক আইএএস, এইপিএস, এমএলএ তৈরি করেছেন।

তিনি ওই তরুণীকেও ভবিষ্যতে বিচারপতি বানিয়ে দেবেন বলে দাবি জানান। কিন্তু, তার বিনিময়ে তিনি কী পাবেন তা জানতে চান। বাবা এও বলেন, ওই তরুণী চাইলে তিনি তাকে সন্তান উপহার দিতে পারেন। এরপরই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনেই হুঁশ ফেরে বাবাজির। ওই তরুণীর দাবি, এরপরই তিনি তাকে শাসিয়ে বলেন, মুখ খুললে ফল ভাল হবে না।

ধর্ষিতা ওই তরুণী ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের বাসিন্দা এবং জয়পুরের এক আইন কলেজের ছাত্রী। বাবাজির সুপারিশেই তিনি এক সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান। এজন্য তার মাসিক বেতন ৩ হাজার টাকা ধার্য হয়। ওই টাকা মহারাজের মন্দিরে দান করার সিদ্ধান্ত নেন তরুণী ও তার পরিবার। সেই টাকা দিতেই তিনি ওই আশ্রমে যান। সেই রাতে তাকে ধর্ষণ করেন কৌশলেন্দ্র মহারাজ। তরুণী জানিয়েছেন, গুরমিত রাম রহিমের সাজাপ্রাপ্তির পরেই তিনি সাহস পান এবং পুলিশের দ্বারস্থ হন।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭ ২:৩৩ অপরাহ্ণ