নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ভেটেরেনারি সার্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদ শূন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে উপজেলার গবাদি পশু পালনকারিদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে দেড় থেকে দুই শতাধিক পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম রয়েছে। এছাড়া অনেক গরু ও ছাগলের ফার্মও রয়েছে। প্রতিদিন অনেক গবাদি প্রাণি পালনকারি সেবা ও পরামর্শ নিতে আসেন প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কিন্তু ভেটেরেনারি সার্জনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে আসা লোকদের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তেমনি হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতি উপজেলায় একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেরেনারি সার্জন, একজন উপজেলা লাইফ স্টক অ্যাসিসটেন্ট (ইউএলএ), তিনজন ভেটেরেনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট (ডিএফএ), একজন কম্পাউন্ডার, একজন ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ড (এফএ/এআই), একজন অফিস সহকারী, একজন ড্রেসার ও একজন অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) পদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে এ হাসপাতালে বর্তমানে একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, একজন ভেটেরেনারি ফিল্ড অ্যাসিসটেন্ট, একজন কম্পাউন্ডার, একজন অফিস সহকারী ও একজন অফিস সহায়কসহ আট পদে ১১জন কর্মকর্তা-কর্মচারির স্থলে পাঁচ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি কর্মরত রয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র বণিক জানান, ভেটেরেনারি সার্জনসহ জনবল সংকট থাকায় মাঠ পর্যায়ে কাজ তদারকি করতে কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে বাড়তি চাপ পড়ছে। এতে করে চিকিৎসা সেবা খানিকটা ব্যাহতও হচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের অধীনে দুটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। একটি প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্প, অপরটি ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল গ্রোগ্রাম। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। জনবল সংকটের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।