নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁয় খোলা বাজারে প্রতিদিন ৭ হাজার পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ৩৫জন ডিলারের মাধ্যমে ডিলার প্রতি ১ মেট্রিকটন (১হাজার কেজি) করে মোট ৩৫ মেট্রিকটন (৩৫ হাজার কেজি) চাল বিক্রয় করা হচ্ছে। এর ফলে খুচরা বাজারে চালের মুল্য কমতে শুরু করেছে। চাল নিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমে নওগাঁ জেলা সদরে এবং পরবর্তীতে প্রতিটি উপজেলা সদরে খোলা বাজারে চাল বিক্রয় শুরু হয়।
খোলা বাজারে চাল বিক্রয় কার্যক্রম সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে। প্রতিদিন এসব ডিলারের নিকট থেকে ক্রেতাদের সারিবদ্ধভাবে চাল কিনতে দেখা যাচ্ছে। নিম্মবিত্ত এবংনিম্মমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের খোলা বাজারে চাল কিনতে বেশী দেখা যাচ্ছে।
নওগাঁ শহরের খাস-নওগাঁ মহল্লার টমটম চালক আজিজুর রহমান, আরজি নওগাঁ গোরস্থা এলাকার নির্মাণ কর্মী সালেহা খাতুন, পার-নওগাঁ এলাকার শ্রমিক আবুল কাশেম জানান, চালের দাম যে আকাশছোঁয়া হয়েছিল তাতে দৈনিক আয় দিয়ে চাল কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। খোলা বাজারে কমমূল্যে চাল দেয়ায় তাদের মতো অনেক খেটে খাওয়া মানুষ চাল কিনতে পারছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম জানান, নওগাঁ জেলা সদরে ৫ জন ডিলার এবং জেলার অন্য ১০টি উপজেলায় ৩ জন করে মোট ৩০ জন ডিলার সব মিলিয়ে ৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতি কেজি চাল সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান বলেন, সরকারের এই সুদূর প্রসারী সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকার আশার আলো জাগিয়েছে। কাজেই এই কর্মসূচী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর