নিজস্ব প্রতিবেদক:
মলদ্বারে প্রায় এক কেজি সোনা নিয়ে বিমানে উঠতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তাকে পরীক্ষা করা হয়। পোশাকে কোনো অবৈধ দ্রব্য না মিললেও শরীরের ভেতরে সন্দেহজনক বস্তু বহন করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে লোকটি স্বীকার করে মলদ্বারে বেশ কিছু সোনা বহন করছেন তিনি। এরপরই উদ্ধার করা হয় প্রায় ১ কেজি ওজনের স্বর্ণ।
ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীলংকার কলম্বোয় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ৯শ’ ৪ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ নিয়ে আটক ৪৫ বছর বয়সী শ্রীলংকার ওই নাগরিক ভারতে যাচ্ছিলেন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, আটক ব্যক্তি এর আগেও নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পাচারকারীরা সাধারণত ডুবাই এবং সিঙ্গাপুর থেকে স্বর্ণ কিনে বেশি লাভের আশায় ভারত, বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাচার করে থাকে। কেননা দেশ দু’টিতে স্বর্ণের দাম অনেক কম। আটক ব্যক্তির ব্যাপারে সন্দেহ হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে কাস্টমস্’এর এক কর্মকর্তা জানান, তার হাঁটা দেখেই কিছু একটা গণ্ডগোল আছে বলে ধারণা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করলে মলদ্বারে থাকা স্বর্ণের অস্তিত্ব মেলে। ছোট ছোট পুটলিতে পাওয়া স্বর্ণের মধ্যে ৪টি বিস্কুটও ছিল। এছাড়া, নানা ধরনের গহনার মধ্যে দুটি রৌপ্য আচ্ছাদিত স্বর্ণের মালাও উদ্ধার করা হয়।
গত সপ্তাহেও কলম্বো বিমানবন্দরে ভারতে যাওয়ার সময় এক নারীকে আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সেই নারীও পাচারের উদ্দেশ্যে মলদ্বারে প্রায় সাড়ে ৩শ’ গ্রাম সোনা বহন করছিলেন। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বর্ণ পাচারকারিরা তাদের কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন রুট ব্যবহার করে থাকে। কোনো পথে কড়াকড়ি বৃদ্ধি পেলে তারা ভিন্ন রুট ব্যবহার করে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ