ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলা জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। ভোলা জেলার সকল উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ রাতে ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ ১ ঘন্টা লোডশেডিং দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পল্লী গ্রাহকরা। এছাড়া বেশির ভাগ সময় কারণে-অকারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ লোডশেডিং চলছে। এতে অতিষ্ট হয়ে উঠছে পল্লী গ্রাহকরা।
সূত্রে জানা গেছে, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শাহবাজপুর প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে ২শ’ ২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি ভোলা সদরে আরোও ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ওই উৎপাদিত বিদ্যুৎ বরিশাল অঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় সুফল পেলেও সুফল পাচ্ছে না এ জেলার লাখ লাখ মানুষ। এ উপজেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলেও পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলায় গত ১ মাস ধরে পল্লী বিদ্যুতের চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। দিন-রাতে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার খেলা চলছে অসংখ্যবার। দিনে গড়ে ৪-৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলেও সন্ধ্যার পর অন্ধকারে থাকে পুরো উপজেলা। রাতে ১ ঘন্টা বিদু্যুৎ ১ ঘন্টা লোডশেডিং চলছে। আকাশে মেঘ দেখলেই বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ, এমন-ই অভিযোগ তুললেন ভুক্তভোগিরা। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদেও বৈদ্যুতিক সেবা দিতে ব্যর্থ হলেও থেমে নেই নতুন সংযোগ দেয়ার কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে পল্লী গ্রাহক বোরহানউদ্দিনের যুগান্তর প্রতিনিধি নীল রতন অভিযোগ করে বলেন, ভোলায় ২শ’ ২৫ ও ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এসকল বিদ্যুৎ বরিশাল বিভাগসহ বিভিন্ন উপজেলার লোকজন সুফল পেলেও আমরা এর থেকে বঞ্চিত। অথচ আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে থাকতে হয়। প্রচন্ড গরম আমরা অতিষ্ট, কিন্তু আমরা দিন রাতে ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এতে মাথা ব্যথা নেই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। তাদেরকে একাধিক ফোনে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাচ্ছি না। সঠিক সেবা না দিলেও বিদ্যুৎ বিল সঠিক সময় দিতে ভুল করে না তারা।
এ ব্যাপারে পল্লী গ্রাহক দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের দিদারউল্যাহ গ্রামের গ্রাহক কামরুজ্জামান, নামজা, রাবেয়া এবং ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, রাতে ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ আর ১ ঘন্টা লোডশেডিংয়ে আমরা ঘুমাতে পারছি না। এতে করে শিশুসহ আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। ছেলে-মেয়েরা ঠিকমত পড়ালেখাও করতে পারছেনা। চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছি আমরা। ঘন ঘন লোডশের্ডিং বন্ধে আমার দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ এর জিএম কেফাতউল্লাহ বলেন, ভোলা পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ৩৩ মেঘাওয়াট। ২শ’ ২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নিচ্ছি ২৫ মেঘাওয়াট। কিন্তু পাওয়ার প্লান্টে যান্ত্রিক ক্রটিতে বেশ কয়েক দিন ২৫ মেঘাওয়াটের স্থলে পাচ্ছি ২০ মেঘাওয়াট। এছাড়া ভোলা রেন্টাল থেকে পাচ্ছি ৫ মেঘাওয়াট। তাও যান্ত্রিক ক্রটিতে বন্ধ রয়েছে। এতে করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বোরহানউদ্দিন পাওয়ার প্লান্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দ্রুত সোমবারের মধ্যে এ সমস্যা সামাধান করার চেষ্টা করবো।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর