স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই রণ–হুংকার ছুড়েছিল জিরোনা। ম্যাচেও ছাড় দেয়নি এবারই লা লিগায় উঠে আসা ক্লাবটি। লা লিগার নতুন ‘কাতালান ডার্বি’তে সর্বস্ব দিয়েই লড়েছে জিরোনা। কিন্তু বার্সেলোনার সঙ্গে পেরে ওঠেনি । বার্সেলোনা জিরোনাকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। ৬৮ বছর পর জাতীয় কোনো প্রতিযোগিতায় কাতালান অঞ্চলের এই দুই ক্লাবের দেখা হলো। স্বাধীনতার দাবিতে ঐকমত্য থাকলেও মাঠে অতিথিদের জিরোনা এক বিন্দু ছাড় দেয়নি। ম্যাচে স্বাগতিক দলই গোলের প্রথম বড় কোনো সুযোগ পেয়েছে। ১১ মিনিটে জোরালো এক শটে বার্সা গোলরক্ষক টের স্টেগেন বিভ্রান্ত হলেও জিরোনার লাভ হয়নি। তবে দুই মিনিট পরেই জিরোনা এগিয়ে যেতে পারত। প্রথমে ডগলাস লুইজের শটটি স্টেগেন দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দেন। ফিরতি বল পান কেনিয়ান স্ট্রাইকার ডেনি অলুঙ্গা। কিন্তু অনুঙ্গার শটও ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক।
ভাগ্যের সহযোগিতায় বার্সা চার মিনিট পরেই এগিয়ে যায়। ডি-বক্সের মধ্যে জোরালো শট নেন জর্ডি আলবা। সে শটের পক্ষে সম্ভব ছিল না জিরোনার জালে পৌঁছানো। কিন্তু এদেয় বেনিতেজের পায়ে লেগে সে বল বোকা বানাল গোর্কা ইরাইজজকে। এগিয়ে গেল বার্সেলোনা (১-০)। প্রথমার্ধে এরপর বারবার চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বার্সা। মেসির অস্বাভাবিক নিষ্প্রাণ হয়ে থাকাই হয়তো এর মূল কারণ। একটি ফ্রি কিক ছাড়া প্রথমার্ধে মেসিকে খুঁজে পাওয়াই যায়নি। মেসিকে বরং একের পর এক অফসাইডের শিকার হয়ে সতীর্থদের উদ্দেশে রাগ প্রকাশও করতে দেখা গেছে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বার্সা ব্যবধান দ্বিগুণ করেছে। এটিও আত্মঘাতী গোল। ডান প্রান্ত দিয়ে অ্যালেক্সিজ ভিদাল একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। গোললাইন ক্রস করার আগে দারুণ এক ব্যাক হিল করলেন ভিদাল। সে বল পেয়েও ডামি করলেন গোলরক্ষকের সামনে থাকা লুইস সুয়ারেজ। বল দেখতে না পাওয়া ইরাইজজের গায়ে লেগে সে বল দিক পরিবর্তন করে চলে গেল জালে (২-০)। এটি লিগে বার্সেলোনার তৃতীয় আত্মঘাতী গোল। লা লিগায় বার্সার পক্ষে মেসির পর প্রতিপক্ষই সবচেয়ে বেশি গোল করেছে।
জিরোনার ম্যাচে ফেরার সব আশা ৬৯ মিনিটেই শেষ হয়ে গেল। সার্জি রবার্তোর দারুণ এক লব থ্রু খুঁজে পেল সুয়ারেজকে। প্রায় ফাঁকায় দাঁড়ানো সুয়ারেজকে আটকানোর কোনো সুযোগ পাননি ইরাইজজ। তবু জিরোনা চেষ্টা চালিয়ে গেছে। বারবার পাল্টা আক্রমণে উঠে ভয় জাগিয়েছে বার্সা–সমর্থকদের মনে। কিন্তু দলটি অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে বারবার খেই হারিয়ে ফেলছিল।
বার্সাও পারেনি ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে। মেসিও পারলেন না লিগে তাঁর গোল সংখ্যা ৯ থেকে বাড়িয়ে নিতে। এরপরও লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি