বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে একটি সরকারি বিশ্রামাগার (রেস্টহাউস) থেকে ইয়াবা বড়িসহ ছাত্রলীগের কর্মী, পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে ওই সময় বিশ্রামাগারে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার দিনভর নাটকীয়তা শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনজনকে আটক করার কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিন সকাল আটটার দিকে মহানগরের রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) বিশ্রামাগার থেকে ইয়াবা বড়িসহ বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম মুনশী (৩০), কামরুল ইসলাম তালুকদার (৩৫), মহানগর পুলিশের কনস্টেবল মো. সাইফুল ইসলামকে (২০) আটক করা হয়।
তাঁদের মধ্যে জাহিদুল ও কামরুলের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামে এবং কনস্টেবল সাইফুলের বাড়ি একই উপজেলার হলতা গ্রামে। তাঁদের বিরুদ্ধে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। এসআই দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত শুক্রবার সকাল আটটার দিকে রূপাতলী এলাকায় সরকারি বিশ্রামাগারে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৪৫২টি ইয়াবা বড়িসহ তিনজনকে আটক করা হয়। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে প্রথমে ছাত্রলীগ সদস্য জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে অন্য মাদক বিক্রেতাদের আটকে অভিযান চালানো হয়। সে কারণে বিষয়টি আগে জানানো হয়নি।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম মনির মোল্লা সরকারি ওই বিশ্রামাগার নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি মাদক কেনাবেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিযান চালানোর সময় তিনিও ওই বিশ্রামাগারে ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটক না করে ছেড়ে দিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ নেতার আস্তানায় অভিযানের কারণেই পুলিশ দিনের বেলা কোনো তথ্য দেয়নি। রাত সাড়ে ১০টার পর পুলিশ ইয়াবা বড়িসহ তিনজনকে আটকের কথা জানায়।
আওয়ামী লীগ নেতা মনির মোল্লার দাবি, ‘বাইরে বিদ্যুৎ না থাকলে আমি মাঝেমধ্যে রূপাতলী পাওয়ার হাউসের রেস্টহাউসে যেতাম। কোনো কক্ষ খোলা থাকলে সেখানে একটু বিশ্রাম নিতাম। আমার বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচার অভিযোগ ঠিক নয়। আমি শুক্রবার ওখানে ছিলামই না। ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন।’ বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার এস এম রুহুল আমিনের ভাষ্য, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেখানে ছিলেন কিংবা তাঁকে আটক না করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এমন কোনো তথ্য তাঁর জানা নেই।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি