আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মগদের নৃশংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানরা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তে মরিচের গুড়া ও স্টানগ্রেনেড ব্যবহার করছে। শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা তাদের গুরুতর আহত কিংবা আটক করতে চাই না। কিন্তু ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করুক তা সহ্য করা হবে না। ‘ভারতে প্রবেশের জন্য সীমান্তে শত শত রোহিঙ্গা অপেক্ষা করছে। তাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছি।’ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে টহল দিচ্ছেন বিএসএফের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল আর পি এস জশোবল। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের তাড়াতে সেনাদের মরিচের গুড়া ও স্টানগ্রেনেড ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোদি সরকার এর আগে পালিয়ে আসা ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তারা এখন দেশটির পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা ও দিল্লিসহ অন্যান্য স্থানে অবস্থান করছে। দেশটি সেখানে নতুন কোনো রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ মেনে নেবে। গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া সহিংসতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৪ লাখ ২২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই সহিংসতাকে জাতিগোষ্ঠী নিধনের জ্বলন্ত উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশ্বনেতারা মিয়ানমারের ওপর চাপ দিলেও বন্ধ হচ্ছে রোহিঙ্গা নির্যাতন। দেশটির দাবি, রোহিঙ্গারা কেন বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে তা তারা জানে না।
অথচ রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের হামলার চিত্র দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছে বিশ্ব। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়াসহ হত্যার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি