আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ আমোলি লারিজানি বলেছেন, মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাকৃতিক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন নন এবং জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ট্রাম্পের ইরানবিরোধী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল বুধবার একটি বৈঠকে আমোলি এ মন্তব্য করে বলেন, “আমেরিকা বিশ্বে বড় বড় অপরাধ সংঘটিত করেছে। ভিয়েতনাম, ইরাক এবং আফগানিস্তানে দেশটির ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের কথা বিশ্ববাসী এখনো ভুলে যায়নি। এ অঞ্চলে উগ্র আইএসের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের ব্যাপারেও সবাই অবগত রয়েছে।” বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বিশেষ করে স্বৈরচারী এবং একতান্ত্রিক সরকারগুলোর প্রতি ওয়াশিংটনের একপেশে সমর্থনের বিষয়েও বিশ্ববাসী অবগত।
প্রধান বিচারপতি লারিজানি বলেন, “গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরব সফরে গিয়ে তলোয়ার নাচে অংশ নিয়েছেন। অথচ তিনি এমন একটি দেশ সফর করেছেন যেখানে মানুষ কখনো নির্বাচন চোখে দেখিনি এবং নিজ জনগণের বিরুদ্ধে কঠোর দমন-পীড়নে লিপ্ত রয়েছে। অন্যদিকে, ইরান এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ইসলামি গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারই বিরুদ্ধে স্বৈরচারী এবং একনায়ক শাসনব্যবস্থার অভিযোগ আনা হচ্ছে !”
এছাড়া, ট্রাম্প জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সই হওয়া ২০১৫ সালের পরমাণবিক চুক্তিকে আমেরিকার জন্য বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেন। তিনি একে আমেরিকার জন্য সবচেয়ে খারাপ চুক্তি বলেও মন্তব্য করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি