আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে মুসলমানদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হলে তা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করে ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ হেডকোয়ার্টার্সে ওআইসির রোহিঙ্গা সংক্রান্ত কন্ট্যাক্ট গ্রুপের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। রুহানি বলেন, মানবিক ও নাগরিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়েই মিয়ানমারের মুসলমানদের এই দুর্দশার সমাধান করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের অবর্ণনীয় দুর্দশা মনুষ্য বিবেককে নাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, গতহত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, নিরাস্ত্র বেসামরিক ও নিরাপরাধ নারী ও শিশুদের মর্মস্পর্শী ছবি এবং দোষীদের প্রতি উৎসাহ প্রমাণ করে যে, এটি নিকৃষ্ট মানবিক দুর্দশা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সন্ত্রাসী এবং মিয়ানমারের সরকারিবাহিনীর নির্বিচার ও বিশেষ কায়দায় হামলা অনেক মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং বৈষম্য ও বর্বরতার যেকোনো ঘটনাকে হার মানিয়েছে। পরিস্থিতি এতোটাই করুণ যে, তা সব জাতি ও ধর্মের মানুষকে আহত করেছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের মৌলিক অধিকার এভাবে লঙ্ঘন হলে তা সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে এবং ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখবে। মিয়ানমারের মুসলিম সম্প্রদায়ের ভয়ংকর এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও ওআইসিকে কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানান।
মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্যে রুহানি বলেন, তাদের বোঝা উচিত যে, জোরপূর্বক কাউকে জন্মভূমি ত্যাগে বাধ্য কিংবা অন্যদেশে পাঠিয়ে দিয়ে এই জটিল সমস্যার সমাধান হবে না। বরং মুসলিম রোহিঙ্গাদের দুর্দশার অবসান ঘটিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংসতা বন্ধ এবং দোষীদের ন্যায়বিচার করতে মিয়ানমার সরকারের যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ওআইসিকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। রুহানি জানান এ ক্ষেত্রে যাবতীয় সহযোগিতার জন্য ইরান প্রস্তুত আছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি