২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৫১

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ৬১ তম দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৯৫৭ সালে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ৬১ তম বছরে পদার্পণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দুই দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান এবং শুক্রবার ‘টিচার্স–স্টুডেন্ট নাইট’। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে মেডিক্যাল কলেজে বর্ণিল মিলনমেলা চলবে দুই দিনব্যাপী।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর জানান, ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে এক বছর মেয়াদি হাতে কলমে শিখনসহ (ইন্টার্নশিপ) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে। যাতে প্রতিবছর ১৯৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।

এ ছাড়াও এখানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমডি ও এমএস শিক্ষাক্রম চালু আছে। ১৯০১ সালে আন্দরকিল্লায় প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রাঙ্গণে ১৯২৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল স্কুলের কার্যক্রম শুরু হয়। যাতে চার বছরমেয়াদি এলএমএফ ডিগ্রি প্রদান করা হতো। ১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এই কলেজের উদ্বোধন করেন। ডা. আলতাফ উদ্দীন আহমেদ ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ।

১৯৬০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হিসেবে সেবা প্রদান করত। ১৯৬০ সালে এটি বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। মাত্র ২৬ জন শিক্ষক এবং ৭৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। তখন এর বিভাগ ছিল তিনটি। এনাটমি, ফিজিওলজি এবং প্রাণ রসায়ন। ১৯৬০ সালে এতে শুধুমাত্র মেডিসিন, সার্জারি এবং ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা বিভাগ ছিল। ১৯৬৯ সালে বর্তমান ভবনের কাজ সম্পন্ন হলে ১৯৬৯ সালে এটি বর্তমানের সাততলা ভবনে স্থানান্তরিত হয়।

১৯৯০ সালে ডেন্টাল ইউনিট এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি চালু হয়। বর্তমানে এর শয্যা সংখ্যা ১০১০। ২০০৭ সালে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং, কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফিক স্ক্যান, ডিএনএ টেস্টিং চালু হয়।

প্রতিষ্ঠার ৬১ তম বর্ষে মিলনমেলার আয়োজন করা হলেও এবারের আয়োজনটা ছোট পরিসরে করা হচ্ছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তারিফুল ইসলাম রাতিন।

তিনি জানান, এবার মূলত শিক্ষার্থীরাই সবকিছু আয়োজন করছে। র‌্যালি, কেক কাটার পর দুপুরে মেজবানের আয়োজন করা হচ্ছে। কলেজ শিক্ষক, ছাত্রলীগ এবং ছাত্রসংসদ যৌথভাবে ‘সিএমসি ডে’ উদযাপন করছে। এবারের আয়োজনে রেজিস্ট্রেশনের কোনো বিষয় রাখা হয়নি। তাই কোনো রেজিস্ট্রেশন ফিও নেই। এবার তিন হাজার লোকের জন্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানির আয়োজন করা হয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ