স্পোর্টস ডেস্ক:
রুবেল হোসেন যেতে না পারলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কি অন্য কাউকে পাঠানো হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান বলেন, রুবেলের বিকল্প ভাবার কোন সুযোগই নেই। তিনিই যাবেন। ভুলটা তাদের বহির্গমণ বিভাগের, এটা তারাই সংশোধন করবে। উল্লেখ্য দক্ষিণ আফ্রিকার কোন দূতাবাস বাংলাদেশে নেই। শ্রীলঙ্কাতে অবস্থিত দূতাবাস থেকেই বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা নিতে হয়।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন বলেন, ‘একটা নুতন নিয়ম হয়েছে যে ভ্রমণকারীকে অবশ্যই ‘ওকে টু বোর্ড’ ক্লিয়ারেন্স পেপার নিয়ে সফর করতে হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ সেটা পেয়ে থাকে। অন্য সবারটা এলেও রুবেল হোসেনের ক্লিয়ারেন্স পেপার পাওয়া যায়নি। এ কারণে রুবেল যেতে পারেনি। আমরা ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। দ্রুত বিষয়টির সমাধান হবে এবং ওই পেপার হাতে এলেই আমরা তাকে বিমানে উঠিয়ে দিব।’
এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় শনি ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা কাজ করতে পারেননি। বোর্ড ধারণা করছে আজ-কালকের মধ্যেই ক্লিয়ারেন্স পেয়ে রুবেল দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে চড়তে পারবেন।
রুবেলকে নিয়ে মূল সমস্যাটা নাম বিভ্রাট। তার জন্ম তারিখ দিয়ে খোঁজ করলে নাকি যে রুবেল হোসেন পাওয়া যায় সে নামেই এক বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনে কালো তালিকাভুক্ত। এখন ক্রিকেটার রুবেল হোসেনই সেই রুবেল কি না এই নিয়ে বিভ্রান্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমিগ্রেশন বিভাগ। এই কারণেই আটকে রাখা হয়েছে ছাড়পত্র। বিসিবির ধারণা, অন্য কোনো রুবেল হোসেন হয়তো কখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো অপরাধ করেছেন, যার মাশুল দিতে হচ্ছে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর