শিল্প–সাহিত্য ডেস্ক:
পোস্টকোডের ছড়া
পোস্ট করি না ডাকে
ডাকবাকশো কেমন একা
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে!
পোস্টকোডের এই ছড়াগুলো
লিখেছি ঢাকাকে।
০১.
তোপখানা রোড ভাই
তোপখানা রোড
এক হাজার নাকি তার
এলাকার কোড।
০২.
পল্টন পল্টন
পল্টনও হাজার
তোপখানা রোড এই
পল্টন রাজার।
০৩.
ক্লান্তি নিয়ে শান্তি পেতে
রমনা পার্কে ভেড়ো,
পাশেই তোমার, এলাকা কোড
বারোশ’ সতেরো।
০৪.
নিউমার্কেট
তিন-চার গেট
নিয়ে বাজারখানা,
বারোশ’ পাঁচ
কোড নিয়ে সে
দাঁড়িয়ে সবার জানা।
০৫.
নবাবগঞ্জ আগলা
দাঁড়া না রে পাগলা
তেরো তেইশ কোডটা
জেনে নিয়ে, রোডটা
চিনে নিয়ে যা না
কে করেছে মানা!
০৬.
বারোশ’ পনেরো
শুধু তেজগাঁও
শিল্পের এলাকায়
যদি যেতে চাও
বারোশ’ আটে তার
গিয়ে খোঁজ নাও।
০৭.
গেণ্ডারিয়ার চারে এবং
ওয়ারীটার তিনের
মধ্যে একের তফাৎ এটা
ভুল হয় না শচীনের।
দুটোর সাথেই যদি শচীন
বারোশ’ যোগ করে,
বলতে পারো কে শচীনের
কোডের ভুলটা ধরে!
০৮.
এগারোশ’ ঢাকা সদর
থানা সূত্রাপুর,
তেরোশ’ দশ কেরানীগঞ্জ
নয় তো বেশি দূর।
০৯.
মাতুয়াইল ৬২ আর
৬০ হলো ডেমরার,
দুটোর আগেই ১৩ দিয়ে
হোক শুরু গেমটার।
আলোর শহর
রাস্তা দিয়ে হাঁটলে যদি
চারটে ছায়া দেখো
ল্যাম্পপোস্টের নিয়ন আলোর
কথা মাথায় রেখো।
ঝলমলানো অফিস রেখে
ফিরতে গেলে বাসায়
হরেক রঙের আলো এসে
দু’চোখ তোমার ভাসায়।
ধাঁধার ঘোরে সবকিছুকে
লাগে ফাঁকা ফাঁকা,
রঙিন আলোয় রঙিন শহর
নামটা তাহার ঢাকা।
নালিশ
(সিন্ধুর জন্য)
‘আঁকতে ভালোবাসি বলে
বকেন ক্লাসের টিচার,
আচ্ছা বাবা বলো তুমি
এটা কেমন বিচার?
‘আমি নাকি পড়ি না বই
দিই না পড়া ক্লাসে!’
এমন কথা শুনে বাবা
মিটমিটিয়ে হাসে।
‘করলে এমন পড়তে কারো
ভালো লাগে নাকি?’
বাবা বলেন, ‘তুমি বরং
করো আঁকাআঁকি।
পদ্মা
জল থই থই
পদ্মা অথই
নদীর মাঝে নাও,
কনে দেখা
আলোর রেখা
রঙ তুমি ছড়াও।
পদ্মা তুমি
হৃদয়ভূমি
মাঝির হাতের হাল,
তোমার রঙে
তোমার রূপে
যাই হয়ে মাতাল।
০২.
হাঁটুপানি পেরিয়ে নাও দাঁড়িয়ে
নায়ে চড়ে বালুচরে যাও হারিয়ে
বালুচরে জেগে ওঠা ঘাসের বুকে
পালের গরু চরে মনের সুখে
নৌকাটা বেঁধে রেখে মাঝিটার ছেলে
পাটাতনে জমে থাকা পানি সেঁচে ফেলে,
উড়ে এসে বলে যায় কিছু বকপাখি
পদ্মায় আমরা তো মিলেমিশে থাকি।
০৩.
আকাশটা নীলে ভরা
জলে ভরা নদী
সাদা রঙ নীলে আঁকা
যেন সাদা দধি।
ছড়াকার পরিচিতি
সুমন মাহমুদ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সিরাজনগর গ্রামে ১৮ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিত ছড়া চর্চা করে আসছেন। যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ২০১০ সালে ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। লেখালেখিকে ভালোবেসে নিজেকে জড়িয়েছেন সাংবাদিকতায়। কাজ করেছেন সেবা প্রকাশনীতে। ছিলেন তরুণ লেখক প্রশিক্ষণ কোর্সের ৬ষ্ঠ ব্যাচে। বর্তমানে কাজ করছেন আরটিভিতে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ