:
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বন্ধের এটাই শেষ সুযোগ বলে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিকে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সু চি যদি এখনই তৎপর না হন, তবে এই বিপর্যয় সত্যিই ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।
রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। গুতেরেসের মতে, কেবল সু চিই পারেন এই হত্যাযজ্ঞ এখনই বন্ধ করতে।
আগামী মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে জরুরি ভাষণ দেবেন সু চি। সেখানে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ভাষণই সু চি’র সামনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের শেষ সুযোগ বলে জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তিনি যদি এখনই পরিস্থিতি বদলে না দেন, তবে আমি মনে করছি, এই মানবিক বিপর্যয় আরো ভয়াবহ রূপ নেবে। দুর্ভাগ্যবশত আমি জানি না, ভবিষ্যতে কীভাবে এই পরিস্থিতি সামলানো হবে।
সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিব স্পষ্ট করে বলেন, একটি জাতিকে নির্মূলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই অভিযান বন্ধে অবশ্যই দেশটির ওপর আরো চাপ তৈরি করতে হবে।
সেনাবাহিনীর গণহত্যার মুখে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে ফেরত যাওয়ার সুযোগ অবশ্যই দিতে হবে বলেও জোর তাগিদ দেন বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর এ সংস্থার প্রধান।
তিনি বলেন, এখনও মিয়ানমার রাষ্ট্রের ওপর সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বের হাত রয়েছে, যেটা রাখাইনে যা ঘটছে, তা ঘটানোর জন্য প্রভাব ফেলছে।
পুলিশের ওপর হামলার অজুহাতে মিয়ানমার সরকার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কথা বললেও জাতিসংঘ বলছে, গত ২৫ আগস্টের ওই ঘটনার পর থেকে সেখানে জাতিগত নিধন চলছে। এই নিধনযজ্ঞে এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে। স্বদেশ ছেড়ে শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছে প্রায় সোয়া ৪ লাখ মানুষ।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর