নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধে ওপর সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মৎস্য উৎপাদনের পাশাপাশি সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে জেলার অনেকেই। সবজিগুলো হচ্ছে- পটল, ঢেড়শ, বরবটি, লাউ, পেপে, মানকচু, কলা, বেগুন ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বাড়তি আয় করছেন চাষিরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নবাতকাটি গ্রামের মৎস্য চাষি মোহাম্মাদ লাল্টু হোসেন জানান, তিনি প্রায় এক দশক ধরে ১০ বিঘা জমিতে সাদা মাছের চাষ করেছেন। গত ৪ বছর ধরে ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর সবজি চাষ করছেন। চলতি মৌসুমেও বাঁধে চাষ করা সবজি ইতিমধ্যেই বেচাকেনা শুরু করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম বেশি থাকায় বাড়তি আয়ের আশা করছেন তিনি।
সদরের এল্লারচর গ্রামের মৎস্য চাষি শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি ৮ বিঘা জমিতে মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর সবজি চাষ করেছেন। মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি সবজি চাষ করে বছরে এক লাখ টাকার উপরে বাড়তি উৎপার্জন হয় তার।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলা লোনা ও মিঠার পানির প্রায় ৭০ হাজারের মত মাছের ঘের রয়েছে। এসব ঘেরের অন্তত ২৫ শতাংশ পরিমান মৎস্য ঘেরে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করছেন মৎস্য চাষিরা।
তিনি আরো বলেন, আগে একজন মৎস্য চাষী কেবলই মাছ উৎপাদনের ওপর নির্ভশীল ছিলো। কিন্ত এখন মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের বেড়িবাঁধে সবজি চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। প্রথমে সাদা মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধের উপর সবজি চাষ করা শুরু হলেও এখন লোনা পানির চিংড়ি ঘেরের বেড়িতেও সবজি উৎপাদন হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজি আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধে সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জেলায় উৎপাদিত সবজির ৩০ শতাংশই এখন ঘেরের বেড়িবাঁধের উপর হয়ে থাকে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ