নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমারের নির্মূল অভিযানের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ইরানের ত্রাণবাহী বিমান চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভি রোববার জানায়, ৪০ টন ত্রাণ নিয়ে বিমানটি মিয়ানমার সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান মোর্তেজা সালিমি’ও একই বিমানে করে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর চট্টগ্রামে এসেছেন। এর আগে ইরান জানিয়েছিল সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য আরও ১৬০ টন ত্রাণ দিতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য শিবির তৈরিতেও আগ্রহ দেখায় পারস্যের এই দেশটি। ফ্লাইটে থাকা ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া অঞ্চলের উপমন্ত্রী ইব্রাহিম রাহিমপুর জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটির বাংলাদেশে পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হয়। এসব ত্রাণ বাংলাদেশে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসের মাধ্যমে অসহায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে বলে প্রেস টিভি তাদের প্রতিবেদনে জানায়।
ইব্রাহিম রাহিমপুর আশা প্রকাশ করে বলেন, ইরানের এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘের হিসেবে, গত ৩ সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সংস্থাটি বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকটগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এই প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেন বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযানটি পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখ করার মতো উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, শরণার্থী হয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেকই শিশু। এদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি