২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:২৮

রোহিঙ্গা বিরোধিতায় বিপদে মোদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বড় বিপদেই পড়েছেন। মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভারত থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণায় দেশটির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আর এই রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন। তার এই বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং- ‘র’- এর শীর্ষ ব্যক্তি ছাড়াও উপদেষ্টা নৃপেন্দ্র মিশ্র, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দূভালসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। খবর: এনডিটিভির।

এসব ব্যক্তিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের মুক্তিকামী সংগঠন আরসা’র কমান্ডারদের হয়তো পাকিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী আশঙ্কা করছে হাফিজ সাঈদের নেতৃত্বাধীন লস্কর-ই তাইয়্যেবার সাথেও রোহিঙ্গাদের যোগাযোগ থাকতে পারে। একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের অনুপ্রবেশ যেমন মিয়ানমারের জন্য হুমকি, তেমনি সেটা ভারতের জন্যও হুমকি।

ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশটিতে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এদের বেশিরভাগই জম্মু, হায়দরাবাদ এবং দিল্লির আশেপাশে অবস্থান করছে। এসব রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে ভারত সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বলে আসছেন। এতে দেশের ভেতরে ও বাইরে সমালোচনার শিকার হয়েছে বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশটির। এ পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে মোদির মিয়ানমার সফর আগুনে তেল ঢেলে দিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি ও মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে, সেটা নতুন করে ভেবে দেখার জন্য দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে জরুরি এই বৈঠক।

ভারতের গোয়েন্দারা মনে করে, রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে লস্কর-ই তৈয়্যবা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এর স্বপক্ষে একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে দেখানো হয়েছে, হাফিজ সাঈদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বয়ান দিচ্ছেন। ২০১২ এর জুলাই মাসে করাচিতে এই সভাটি হয়েছিল বলে জানা যায়। এছাড়া ভারতের ভয়ের আরেকটি কারণ হচ্ছে, আল-কায়েদার পাকিস্তান প্রধান মওলানা উস্তাদ ওয়াজির গত মাসে থাইল্যান্ড সফর করে রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলে জানা যায়।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৭ ২:৩৯ অপরাহ্ণ