শিল্প–সাহিত্য ডেস্ক:
অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্রের আন্তর্জাতিক কর্মশালা ঢাকা ডক ল্যাবের সমাপনী আয়োজন। এতে ছয়টি শাখায় চারজন নির্মাতাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
দেশের প্রামাণ্যচিত্রকে আরো বেশি করে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নির্মাতা তৈরিতে ডক ল্যাব সহায়ক হবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
শিল্পকলা একাডেমিতে বুধবারের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বক্তৃতা করেন নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ, ডেনমার্কের চলচ্চিত্রকার ক্যারোলিন লিডিন, যুক্তরাজ্যের হোয়াচেকার ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি জেন রে প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সবসময়ই অতিথি পরায়ণ। বাংলাদেশ নিয় সবাই অনেক আশাবাদী। তবে অনেকে হতাশা প্রকাশ করেন— তাদের বলতে চাই, বাংলাদেশ অতীব সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে হবে।’
ফিচার ফিল্ম বা কাহিনীচিত্রের জন্য যদি যৌথ প্রযোজক আর যৌথ বাজারের দরকার হয়, তাহলে ডকুমেন্টারি ফিল্ম বা প্রামাণ্যচিত্রের জন্য নয় কেন? ছয় দিনের একটি কর্মশালার মূল কথা এটাই।
কর্মশালায় দক্ষিণ এশিয়ার তরুণ নির্মাতারা প্রযোজকদের কাছে তাদের তৈরি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন (পিচিং), পরিবেশন, বাজারজাতসহ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের পুরো প্রক্রিয়াটি হাতে কলমে শেখেন বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্রজনের কাছ থেকে। শেষ দুই দিন প্রযোজকদের কাছে নিজেদের প্রকল্পগুলো উপস্থাপন করেন তারা।
মোট ১৩টি প্রকল্প জমা পড়ে। ছয়টি শাখায় চারজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। অ্যামার্জিং ট্যালেন্ট পুরস্কার পান বাংলাদেশের সুমন দেলোয়ার। তিনি আইএফআইবির আর্থিক সহযোগিতায় আগামী কান চলচ্চিত্র উৎসব ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ৭১ টিভি পুরস্কার পান দক্ষিণ ভারতের অরুণ কার্তিক। চ্যানেল আই ও ঢাকা ডক ল্যাব পুরস্কার পান বাংলাদেশের হুমায়রা বিলকিস। কলকাতা ডকেজ ও গাজি টিভি পুরস্কার পান বাংলাদেশের তাসমিয়া আফরিন মৌ।
আয়োজন উপলক্ষে বিশ্বের বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, টেলিভিশন সম্প্রচারক, চলচ্চিত্র পরিবেশক এবং সিনেমায় অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসেছিলেন।
৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে কর্মশালা ছাড়াও ছিল প্রকল্প উপস্থাপন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের মাস্টার ক্লাস।
কর্মশালাটির আয়োজক স্বাধীন ধারার নির্মাতাদের নতুন সংগঠন ‘ঢাকা ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম নেটওয়ার্ক’। তাদের প্রথম কর্মসূচি ‘ঢাকা ডক ল্যাব’। সহযোগিতায় ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ও শিল্পকলা একাডেমি। সাথে আরো ছিল কসমস ফাউন্ডেশন, ওরিয়েন্টাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ভারতের ডকুমেন্টারি রিসোর্সেস ইনিশিয়েটিভ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ