জাতিসংঘের আরোপিত নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। উল্টো এই নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই ‘বড় ধরনের কষ্ট’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে কিম জং উন সরকার। মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের এক সম্মেলনে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রদূত হান তায়ে সং বলেন, উন্নতির প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন জানে না, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সংঘাতের কারণে তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হান তায়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে যা ইতিহাসে কখনও তারা দেখেনি।
গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে সায় দেয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। দেশটির ৬ষ্ঠ পরমাণু পরীক্ষার পর জাতিসংঘ নতুন করে এই অবরোধ আরোপ করে। এতে কয়লা, সিসা এবং সামুদ্রিক খাবারের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। চীন ও রাশিয়া প্রথমে অসম্মতি জানালেও পরে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রাজি হয়। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ায় তেল রপ্তানিসহ বেশ কিছু বিষয়ে নতুন করে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রস্তাবও জাতিসংঘে পেশ করে।
গত আগস্ট থেকে মার্কিন খসড়া প্রস্তাবের আলোকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদার করায় দেশটির কয়লা এবং লোহা রপ্তানি খাত ১শ’ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়ে। এরপরও অবশ্য উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা এবং পরীক্ষা চালানো থেকে বিরত রাখা যায়নি।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি