আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞের মধ্যে আজ বুধবার রাতে এ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ওই পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য এবং পশ্চিম ইউরোপ থেকে নির্বাচিত অস্থায়ী সদস্য সুইডেনের অনুরোধে এ বৈঠক হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৪ আগস্ট রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টি চৌকিতে জঙ্গিগোষ্ঠী ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’র (আরসা) কথিত সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা হতাহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে গত ১৮ দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশ এরই মধ্যে ওই অভিযানকে সুস্পষ্ট গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলছে, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই শিশু। বাংলাদেশে অবস্থানরত অন্তত দুই লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জীবন ঝুঁকিতে আছে। তাদের বাঁচাতে জরুরি সহযোগিতা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জায়িদ রাদ আল হুসেইন গত সোমবার দাবি করেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া এবং ইউরোপের ২৮টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), মুসলমান দেশগুলোর জোট ওআইসিসহ সারা বিশ্ব। তবু মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে কি না সেদিকে আজ দৃষ্টি থাকবে সবার।
বৈঠকের ফলাফল আসতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
জানা গেছে, অং সান সু চি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যাচ্ছেন না। তাঁর পরিবর্তে সেখানে যাবেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান থিও। তিনিই সেখানে মিয়ানমার পরিস্থিতিতে বক্তব্য দেবেন। সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধনের কথা তুলে ধরবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ