নিজস্ব প্রতিবেদক:
যৌতুক না দেয়ার কারণে স্বামী মুক্তার হোসেন কেড়ে নিয়েছে এক সন্তানের জননী শারমিন বেগম নামে এক গৃহবধূর প্রাণ। শুক্রবার গভীর রাতে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক আমিরুল শিকদার জানান, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় মুক্তার হোসেন তার স্ত্রী শারমিন বেগম ও দুই বছরের কন্যা কিউমনা বেগম ঘরের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অতীত থেকে চলে আসা যৌতুক এনে দেয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হতে থাকে। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরে স্বামী মুক্তার হোসেন ঘরে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী শারমিন বেগমকে গুরুতর আহত করেন। শারমিনের চিৎকারে ঘরে থাকা তার কন্যা ও পাশের ঘরে থাকা শ্বশুর আব্দুর রহিম ও শাশুড়িসহ বাড়ির সকলে জেগে উঠে এবং চিৎকার শুরু করে।
এক পর্যায়ে মুক্তার হোসেন ঘরের দরজা খুলে পালাবার চেষ্টা করলে তার স্বজনরা তাকে আটক করে বেঁধে রাখে এবং আহত গৃহবধূ শারমিনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিনকে চিকিৎসা দিতে শুরু করলে তার মৃত্যু হয়। মুক্তার হোসেনের পিতা থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে মুক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহতের মা শাহানা বেগম জানান, আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমার কোন পুত্র সন্তান নেই। তিনটি মাত্র কন্যা সন্তানের মধ্যে শারমিন সকলের ছোট। শেষ বয়সে আমাদের শারমিন দেখাশুনা করবে এ আশায় বাড়ির কাছে বিয়ে দিয়েছি। আর এটাই কাল হয়েছে। লোভী মুক্তার হোসেন আমার সম্পত্তির লোভ সামলাতে না পেরে যৌতুকের জন্য প্রতিদিনই শারমিনকে যন্ত্রনা করত। আজ তাকে মেরেই ফেলল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। দাফনের পর নিহতের মা শাহানা বেগম বাদী হয়ে মামলা করবেন।
M/H