লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
এখনো বলা হয়ে থাকে কোনো মেয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন প্রিয় কিনা তা বুঝার জন্য তার পায়ের গোড়ালি দেখা হয়। মানে যার পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার বা সুন্দর থাকে সে স্বাভাবিকভাবেই পরিষ্কার ও গোছানো স্বভাবের। আদিযুগ থেকে বাঙ্গালি মেয়ের চলন নিয়ে সংস্কারের-কুসংস্কারের শেষ নেই। আগের দিনে মুরুব্বিরা মেয়েদের চলন দেখতে প্রথমে নজর দিতেন পায়ের পাতায়। বর্তমান সময়ে সে অবস্থা পাল্টে গেলেও নিজের ও প্রিয়জনের ভালো লাগায় কোমল-সুন্দর পায়ের বিকল্প নেই। তাই পায়ের পাতা সুন্দর রাখতে নিতে হবে বাড়তি যত্ন।
২. আনারসের রস পায়ে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি খুব ভালো ছত্রাক সংক্রমণরোধী হিসেবে কাজ করে।
৩. লেবুর রস ও মধু একসঙ্গে পায়ের গোড়ালি ও আঙুলের ফাঁকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে পায়ের দুর্গন্ধ কম হয়।
৪. মোলায়েম রাখার জন্য গ্লিসারিন এর সাথে নারিকেল তেল ও গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন পায়ের ময়েশ্চারাইজার। তারপর পায়ে লাগান।
৫. টকদই পায়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জল হবে, পা কোমল হবে।
৬. সপ্তাহে ১ বার হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে পা ধুয়ে ফেলুন। তারপর ক্রিম লাগান।
৭. গরমের দিনে একটু খোলামেলা জুতা-স্যান্ডেলের চেয়ে আরামের আর কী হতে পারে! আর যদি পা ঘামে তাহলে তো এটা আরও বেশি জরুরি। তাই খোলামেলা ও নরম স্যান্ডেল পরুন, গরমে স্বস্তিতে থাকুন।
পেডিকিওর : প্রথমে পায়ের নখ পরিষ্কার করে কেটে নিতে হবে। কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে নখের দু’পাশ যেন বেশি কেটে না যায়। এরপর উষ্ণ সাবান পানিতে দুই পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত পানি ঠাণ্ডা না হয়। সাবানের সঙ্গে পানিতে কয়েক ফোটা অ্যান্টিসেপটিক মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার পা হালকা করে মুছে, পায়ের পাতা ও প্রতিটি আঙুলের কোণায় ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বা লোশন দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
পা যদি বেশি শুকনো হয় তাহলে ক্রিম ত্বকের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যাওয়ার পাঁচ মিনিট পর ভেজা তোয়ালে পায়ে জড়িয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপর অল্প সাবান দেওয়া উষ্ণ পানিতে পা ধুয়ে অ্যাপ্রিকট স্ক্রাব লাগাতে হবে। এতে মরা চামড়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবার ভালো করে পা ধুয়ে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। সবশেষে গোড়ালি পর্যন্ত লোশন ম্যাসাজ করে লাগাতে হবে।
তথ্য : ইন্টারনেট