২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:৪২

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না: মির্জা আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রোহিঙ্গা সংকটকে জাতীয় সমস্যা অভিহিত করে বিএনপির এই বিষয় নিয়ে কোনো ধরনের রাজনীতি করার বাসনা নেই বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট একটি জাতীয় সমস্যা। এই নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। এই সংকট মোকাবিলা করতে হলে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’রোহিঙ্গাদেরকে স্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে বলছি না। তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া হউক।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্ব বিবেক যখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাগ্রত। তখন সরকার কোনো প্রকার প্রস্ততি গ্রহণ করেনি। আমরা যখন কথা বলতে শুরু করেছি, তখন তারা বলতে শুরু করেছে। আমরা নাকি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনীতি করছি?‘একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা কোনো রাজনীতি করতে চাই না।”

সরকার নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

‘দেশে মানুষ যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি নির্বাচনের জন্য। সেই নির্বাচনী আওয়াজ শুনতে পেরে সরকার তাদের লোকেরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের বন্দি করে নির্বাচনী কৌশল এখন থেকেই গ্রহণ করেছে। কিন্তু দেশের তা কখনই মেনে নেয় না। জনগণ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।”

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যারা বিষোদগার করছেন তারা নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখুন। বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী নেত্রী হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা অধীনে নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। নির্বাচন হবে সহায়ক সরকারের অধীনে। এ নির্বাচন এত সহজে আদায় হবে না। তাই কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৯৭৮ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যে চুক্তি করেছিল, সেই চুক্তির মাধ্যমেই মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিতে হবে। যাতে রোহিঙ্গারা ফিরে গিয়ে মিয়ানমারে নাগরিকত্ব পান।’

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করার আহ্বান জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেরিতে হলেও সরকারের কয়েকজন রোহিঙ্গাদের দেখতে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। তবে একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই- আগামী দিনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না। নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে দেশের জনগণ সেই নির্বাচন মেনে নেবেন না। হতে দেবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, বরকতউল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

দৈনিকদেশজনতা/ এন আর

 

 

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭ ৮:৩০ অপরাহ্ণ