মহিউদ্দিন খান মোহন:
বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো আরেকটি সুবৃহৎ রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। নাম ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট’, সংক্ষেপে ইউএনএ। জোটটি গঠন করেছেন দেশের আলোচিত-সমালোচিত ও বিতর্কিত রাজনীতিক সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ জাটের অংশীদারের সংখ্যা ৫৯। তন্মধ্যে জাতীয় পার্টি এবং ইসলামিক ফ্র্রন্ট নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।বাকিগুলো নিবন্ধন ছাড়া। বলা যায় নাম গোত্র পরিচয়হীন।
এ রকম আরো একটি বিশাল আকারের জোট এদেশে গঠিত হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। তাতে শরিক দলের সংখ্যা ছিল ৭০টি। জোটটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘সম্মিলিত বিরোধী দল’ বা ‘কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি’- সংক্ষেপে ‘কপ’। নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন জাসদ (বর্তমানে জেএসডি) সভাপতিআ স ম আবদুর রব।ওই জোটটিও গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ নির্বাচনকে সামনে রেখে। ১৯৮৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর আঁতাতের নির্বাচনে গঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় সংসদ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোটের আন্দোলনের মুখে ১৯৮৭ সালের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে সে সংসদ ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি এরশাদ। চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় ২২ মার্চ। কিন্তু বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এরশাদকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার দৃঢ় প্রত্যয়পরিস্থিেিক জটিল করে তোলে। বিএনপি নেত্রীর কঠোর অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগও দ্বিতীয়বার আঁতাতের নির্বাচনে অংশ নিতে সাহস করেনি। তাছাড়া গোটা দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থানের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ব্যক্ত করায় তারা সে নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হয়। ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোট, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ৮ দল, বাম জোট এবং জামায়াতে ইসলামী চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করে। সে সময় নির্বাচনকে ‘গ্রহণযোগ্যতা’র লেবাস পরানোর জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খুঁজে বের করেন তৎকালীন সময়ে প্রায় নিভূ নিভূ প্রদীপসম রাজনীতিক আ স ম আবদুর রবকে। তাকে নেতা বানিয়ে অজ্ঞাত, অখ্যাত, প্যাড সর্বস্ব ৭০টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠন করা হয় কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি- কপ। সে নির্বাচনে কেউ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি। উপরন্তু বিরোধী দলগুলো সেদিন সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকায় গোটা দেশ হয়ে পড়েছিল স্থবির। সে নির্বাচনে গোটা চল্লিশেক আসন দিয়ে আ স ম আবদুর রবকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়েছিলেন এরশাদ।
দীর্ঘদিন পর আবার একটি ‘জাম্বো’ সাইজের রাজনৈতিক জোটের আবির্ভাব তাই জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। কেন এবং কী উদ্দেশ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অন্যতম অংশীদার জাতীয় পার্টি আলাদা জোট গঠন করলো, এর রহস্য কী, পর্দার অন্তরালে কোন নাটকের রিহার্সেল চলছে- এসব প্রশ্ন সঙ্গত কারণেই জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেননা, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচকে কেন্দ্র করে যেসব ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলোর মধ্যে এরশাদের বারবার রং বদল ছিল অন্যতম। নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা, মাথায় গুলিশূন্য পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যার হুমকি, অতঃপর অদৃশ্য শক্তির ইশারায় হাসপাতালে ভর্তি এবং তার প্রথমা স্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ জন্ম দিয়েছিল মুখরোচক সব সংবাদ। বিএনপির বর্জনের কারণে একতরফা নির্বাচনটিকে বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতার বাতাবরণ দেয়ার জন্যই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে সে সময় ওইসব নাটক করেছিলেন তা বুঝতে কারো বাকি থাকেনি।ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে একটি নির্বাচনী প্রহসনকে বৈধতার সীলমোহর লাগাতে ১৯৮৮ সালে তিনি যেমন আ স ম রবকে ব্যবহার করেছিলেন, তেমনি ২০১৪ সালে একই কারণে, একই উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনাও তাকে ( এরশাদ) একইভাবে ব্যবহার করেছেন। ফলে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এরশাদের এ রঙ বদলের নেপথ্য কারণ জানার জন্য দেশবাসীর কৌতুহলী হয়ে ওঠা স্বাভাবিক।
রাজনীতিতে শেষ কথা নেই- একটি রাজনৈতিক আপ্তবাক্য। রাজনৈতিক দল বা নেতারা যখন পূর্বে দেয়া কোনো প্রতিশ্রুতি, অবস্থান অথবা মিত্র বদল করেন, তখন মুখ রক্ষার বর্ম হিসেবে এ বাক্যটি ব্যবহার করা হয়। ২০১৪ সালে এরশাদও তা-ই করেছিলেন। ‘আমি যদি নির্বাচনে যাই তাহলে মানুষ আমার মুখে থু থু দিবে’,‘কেউ আমাকে নির্বাচনে নিতে পারবে না’- ইত্যাদি কঠিন কঠিন কথা বলে এরশাদ বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন। কিন্তু অনেক নাটক-একাঙ্কিার পরযখন তিনি হাসপাতালে শুয়ে নির্বাচিত হলেন, স্ত্রী সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হলেন,তার বোল পাল্টে গেল। বললেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। ব্যস, হয়ে গেল সবকিছু শুদ্ধ, পূতপবিত্র ও হালাল!
্এরশাদ তার ট্র্যাডিশন বজায় রেখেছেন। খোলা রেখেছেন অবস্থা বুঝে যেদিকে খুশি যাবার দরজা। জোটের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল- এ জোট ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সমঝোতায় যাবে কীনা। জবাবে এরশাদ বলেছেন,‘ আগামীতে কী ঘটবে তা বলা মুশকিল’। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ্এরশাদ বলেছেন, ‘ আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেছিলাম। তখন ১৪ দল ছিল। আমরা যোগ দেয়ার পর মহাজোট হয়। কিন্তু আমরা সেই জোট ছেড়েছি। এখন আমরা সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আছি। আজ যে দলগুলো জাপার ডাকে সাড়া দিয়েছে তাদের নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।’অনুমান করা কষ্টকর নয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অত্যন্ত সুপরিসর ও সুবিন্যস্ত ছক সাজানোই জাতীয় পার্টির মহাজোট ত্যাগের মহড়া ও জোট গঠনের নেপথ্য কারণ। তা নাহলে সরকারের অত্যন্ত বিশ্বস্ত পার্টনার এ দলটি হঠাৎ করে মহাজোট ও সরকারের সংশ্রব ত্যাগ করার ঘোষণা দেয়ার কথা নয়। অবশ্য এটাও লক্ষণীয় যে, এরশাদ মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও সরকারে মন্ত্রী হিসেবে থাকা তার দলের নেতারা এখনো পর্যন্ত পদত্যাগ করেন নি। তারা মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করবেন, নাকি দলত্যাগ করে আওয়ামী লীগে লীন হবেন সেটা অবশ্য এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। আর সে জন্যই এরশাদের এ জোট গঠন এবং নতুন রাজনৈতিক অবস্থান অনেকের কাছেই রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ, এরশাদ স্বার্থ ছাড়া কখনো কিছু করেন না। স্বার্থ হাসিলের জন্য তিনি আজ যার সাথে কোলাকুলি করেন, কাল তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে দ্বিধা করেন না। সকালে এক কথা বলেন তো বিকালে বলেন ঠিক তার উল্টোটা। তাছাড়া এরশাদের রাজনৈতিক অবস্থান বদলের ইতিহাসটাও সবারই জানা।
গত দুই যুগে তিনি পাঁচবার জোট বদল করেছেন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনের পর কারাবন্দী অবস্থায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে ঐকমত্যের সরকারে যোগ দিয়েছিলেন। তিন বছর পর আওয়ামী লীগের জোট ছেড়ে বিএনপি’র সঙ্গে চারদলীয় জোট করেন। দেড় বছরের মাথায় সে জোট থেকে বেরিয়ে যান। তারপর চরমোনাইর পীরের সঙ্গে জোট করে জাতীয় ইসলামী ঐক্য ফ্রন্ট এর ব্যানারে অংশ নেন ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ২০০৬ সাল্রেশাদ যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে। ২০১৩ সালে তিনি মহাজোট ত্যাগের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা ঘটনা ঘটিয়ে অবশেষে তার দল আওয়ামী লীগের মহাজোট সরকারে অংশীদারিত্ব গ্রহণ করে। যদিও তার স্ত্রী রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসনেই বসেন। একই রাজনৈতিক দলের নেতারা একই জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যুগপৎ সরকারি ও বিরোধী দলের আসনে বসার দৃষ্টান্ত বোধকরি এরশাদের জাতীয় পার্টিই স্থাপন করেছে। একই সঙ্গে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পান। এরশাদ আলাদা জোট গঠন এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ থেকে তিনি নিজেও পদত্যাগ করেননি। তার দলের যেসব নেতা শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তারাও পদত্যাগ করেননি। তারা আদৌ পদত্যাগ করবেন কীনা তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। কেননা, একই সঙ্গে গাছের এবং তলারটা কুড়াতে অভ্যস্ত এরশাদ হয়তো ‘মহাজোট ছাড়লেও সরকার ছাড়িনি’- বলে একটা ঘোষণা দিয়ে দিতে পারেন। হয়তো বা ‘মহাজোট আর সরকার এক নয়’- বলে নতুন ফর্মুলাও হাজির করতে পারেন।
এদিকে এরশাদের নবগঠিত জোট নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে নানা গুঞ্জন। প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। পত্রিকায় খবরে বলা হয়েছে, দেশের অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো এরশাদের এ জোট গঠনকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, যেসব নাম পরিচয়হীন দলকে সম্বল করে এরশাদ জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের রাজনীতিতে সেসব দলের কোনো ভুমিকাই নেই। এসব রাজনৈতিক দলকে জনগণ চেনে না, এমনকি নামও শোনেনি কোনো দিন। যে ভোটকে সামনে রেখে এরশাদ এ জোট করেছেন, সে জোটের বাজারে এসব দল মূল্যহীন। এদের কোনো ভোট নেই; এমনকি মিছিল মিটিং করার মতো কর্মীও নেই।
তাহলে কেন এরশাদ এদেরকে নিয়ে আলাদা জোট করতে গেলেন? এখানেই আসল রহস্য লুকিয়ে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে হলে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন জরুরি। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে পরিস্থিতিকী রূপ ধারন করে বলা যায় না। সে ক্ষেত্রে শেষ মুহুর্তে এরশাদ তার জোট নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্য করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর যদি ‘শেখ হাসিনা’ ইস্যুতে বিএনপিকে কঠোর অবস্থানে ঠেলে দেয়া যায, তাহলে এরশাদের ইউনাইটেড ন্যাশনাল এলায়েন্সকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়ে একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করা যাবে। সরকারের যে সুদূর প্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই জাতীয় পার্টি মহাজোট ত্যাগের ‘যাত্রা পালা’ মঞ্চস্থ করছে একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন। কারণ, আওয়ামী লীগ ও এরশাদ পরস্পরের অতি পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখলের পর ‘আই এ্যাম নট আন হ্যাপী’ বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এরশাদকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে যে বন্ধুত্বের সূচনা, দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছরেও সে বন্ধুত্বে ফাটল ধরেনি এতটুকু। প্রায় তিন যুগ ধরে তারা বিপদ-আপদ কিংবা সমস্যা-সংকটে একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ অবৈধ এরশাদ সরকারকে বৈধতার সীল লাগাতে সহযোগিতা করেছিল। ঠিক এরশাদের জাতীয় পার্টি তার প্রতিদান দিয়েছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে সরকারের অংশীদার হয়ে। আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির পারস্পরিক সম্পর্ক ও সখ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, জাতীয় পার্টি তথা এরশাদ কখনোই আওয়ামী লীগকে ত্যাগ করে ভিন্ন অবস্থান নিতে পারবে না। আর সে জন্যই রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহলরে ধারনা, লোক দেখানো দূরত্ব তৈরি করে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তোলার জন্য তারা এ নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছে।
মোদ্দা কথা হলো, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে এরশাদের নতুন জোট গঠন বিশেষ কোনো প্রভাব হয়তো ফেলবেনা। তবে, নির্বাচনী দাবার কোর্টে এটা আওয়ামী লীগের একটি যুতসই ঘুটি হিসেবে কাজে লাগতে পারে। অবশ্য তা নির্ভর করবে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের ওপর। বিএনপি নির্বাচনে গেলে জাতীয় পার্টির ভুমিকা হবে এক রকম, আর না গেলে হবে ভিন্ন রকম। তবে শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে সেটা দেখার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
e-mail: mohon91@yahoo.com