নিজস্ব প্রতিবেদক:
আভাসটা রোববার রাতেই পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীতে অঝোরে বৃষ্টি ঝরল। এতেই সড়কে পানি জমে একাকার। জলাবদ্ধতার সঙ্গে যানজটে সাতসকালে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মমুখী মানুষেরা চরম ভোগান্তি পড়েন। অনেককেই কাক ভেজা হয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়। স্কুলগামী সন্তানের মাথায় ছাড়া ধরে অভিভাবকদের ভিজতে দেখা গেছে। বৃষ্টিতে সড়কে গণপরিবহন কম। ফলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা শেষে বাদুড় ঝোলা করেও গাড়িতে অনেককে উঠতে দেখা যায়।
বৃষ্টিতে রাজধানীর কোনো কোনো সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পানি জমে যায়। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়েই কর্মমুখীদের গন্তব্যে ছুঁটতে হয়। রাজধানীর মিরপুর-১০, কঁচুক্ষেত, প্রগতি স্মরণি, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার, মৎসভবন, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি ২৭, ফকিরাপুল, মতিঝিল, পল্টনসহ বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কে জমে থাকা পানিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মতো হালকা যানগুলো বিকল হয়ে যানজটকে আরও অসহনীয় করে তোলে। বৃষ্টির সুযোগ নেন অটো ও রিকশাচালকরা। ক্ষেত্র বিশেষে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে নগরবাসীকে গন্তব্যে যেতে হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ভারিবর্ষণের এই ধারা আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে। সোমবার সকালে দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সোমবার সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ৪৪ মিলি মিটার (ভারি বৃষ্টিপাত) থেকে ৮৯ মিলি মিটার (অতি ভারি) পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির ফলে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি