২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১০:১০

নান্দাইলে আনন্দ স্কুলে আনন্দে পড়াশোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক-২)  প্রকল্পের মাধ্যমে ৯৫টি  আনন্দ স্কুল স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ২০১৩সালে ৩৫টি, ২০১৪সালে ৬০টি। ‘আর নয় ঝরে পড়া, আনন্দ স্কুলে লেখাপড়া’ এই স্লোগানে নান্দাইলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আনন্দ স্কুলগুলো। বিভিন্ন কারণে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরেপড়া, শিক্ষার সুযোগ পায়নি এমন শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রায় দুই হাজার তিন শত শিক্ষার্থী ৯৫টি আনন্দ স্কুলের মাধ্যমে নতুন করে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

নান্দাইল প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, পিছিয়েপড়া অঞ্চলের দুস্থ ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত, অবহেলিত, দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের দ্বিতীয়বারের মত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই আনন্দ স্কুল স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেনের (রস্ক-২) প্রকল্পের মাধ্যমে নান্দাইলে ২০১৩ সালে ৩৫টি, ২০১৪ সালে ৬০টি আনন্দ স্কুল স্থাপন করা হয়।

নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনার কলি নাজনীন জানান, তার উপজেলায় ৪র্থ শ্রেণির ৬০,৫ম শ্রেণির ৩৫টিসহ মোট ৯৫টি আনন্দ স্কুলে প্রায় ২৩শত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এক স্কুল এক শিক্ষক এ স্কুল চলছে। চার হাজার টাকা মাসিক বেতন এবং ৫শত টাকা ঘর ভাড়া নিয়ে এ শিক্ষক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সপ্তাহে ৬দিন পাঠদান চলে। প্রতি স্কুলে সর্বনিম্ন ১৫ জন ও সর্বোচ্চ ৩৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হয়।

নান্দাইল উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম চালু রয়েছে। তার মধ্যে নান্দাইল পৌরসভায়-৩, নান্দাইল সদর ইউনিয়নে-৫, বেতাগৈরে-১২, মোয়াজ্জেমপুরে-২, চন্ডীপাশায়-১১, গাংগাইলে-৯, রাজগাতিতে-৬, মুশুল্লীতে-১৩, সিংরইলে-৬, আচারগাঁওয়ে-৬, শেরপুরে-৬,খারুয়ায়-৭ ও জাহাঙ্গীর পুর ইউনিয়নে-৭টি আনন্দ স্কুল চালু রয়েছে।

নান্দাইল আনন্দ স্কুলে ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মো. এরশাদ হোসাইন জানান, রস্ক প্রকল্পের আওতায় আনন্দ স্কুলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ভাতা (উপবৃত্তি), পোশাক ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করায় শিক্ষার্থীরা স্কুলগামী হচ্ছে। এসব শিশুকে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে শিক্ষকদের ৬ দিনের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে আনন্দ স্কুল থেকে প্রায় ৭৩০ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

তিনি আরো জানান, স্কুল মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মাদার স্কুলের (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) শিক্ষক, ৯ জন পুল শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত জিপিএস শিক্ষক),টিসি এবং এটিইওবৃন্দ নিয়মিত আনন্দ স্কুল পরিদর্শন করে থাকেন। এছাড়া এলজিইডি কর্তৃক বছরে একবার আনন্দ স্কুলের কার্যক্রম মনিটরিং হয়ে থাকে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭ ৩:০০ অপরাহ্ণ