২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৩২

পুরুষদের ফুটবলে প্রথম নারী রেফারি

স্পোর্টস ডেস্ক:

প্রিয় দলের জয় দেখতেই সবার মাঠে যাওয়া। থাকে ড্রিবল, জমাট রক্ষণ কিংবা অসাধারণ সব গোলের প্রত্যাশা। রেফারির বাঁশি বাজানো দেখতে গ্যালারি বা টিভির সামনে বসে না কেউ। অথচ বুন্দেসলিগায় হার্থা বার্লিন-ওয়ের্ডার ব্রেমনের ম্যাচে সবার দৃষ্টি আটকে থাকবে এক রেফারির ওপর। কারণ জার্মান বুন্দেসলিগায় প্রথমবারের মতো ছেলেদের ম্যাচে বাঁশি নিয়ে মাঠে নামবেন নারী রেফারি! ৩৮ বছর বয়সী বিবিয়ানা স্টিয়েনহস নতুন ইতিহাস গড়তে চলেছেন তাই। এর পরও নিজেকে নারী রেফারিদের পথপ্রদর্শক ভাবছেন না স্টিয়েনহস, পথপ্রদর্শক হয়ে থাকতে চাই না আমি। রেফারিং ভালোবাসি, উপভোগ করতে চাই এটাই। কেউ যেন অহেতুক আমাকে নিয়ে শিরোনাম না করে, বিব্রতকর হবে ব্যাপারটা।

ছেলেদের ফুটবলে নারী রেফারিং এবারই প্রথম নয়। ইউরোপের তুর্কি লিগের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন চার নারী রেফারি। অন্য অনেক দেশের দ্বিতীয় বিভাগের লিগে নারী রেফারির পদচারণও নিয়মিত। এমনকি খোদ বিবিয়ানা স্টিয়েনহস পর্যন্ত আগস্ট মাসেও পরিচালনা করেছেন জার্মান কাপে বায়ার্ন মিউনিখের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ। তবে ইউরোপের সেরা পাঁচ ফুটবল লিগে বুন্দেসলিগাতেই প্রথম অভিষেক হতে যাচ্ছে নারী রেফারির। এমন উপলক্ষের জন্য প্রস্তুত স্টিয়েনহস, বুন্দেসলিগায় প্রথম ম্যাচে আমার প্রত্যাশা অবশ্যই অনেক বেশি। অসাধারণ এই চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে আছি। আমি আর আমার দল পুরো প্রস্তুত।

একটা সময় ভালো সাঁতারু ছিলেন স্টিয়েনহস। রেফারিংয়ের পাশাপাশি জার্মান পুলিশের অফিসারও তিনি। শিরোনামে এসেছিলেন ইংলিশ তারকা রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে স্টিয়েনহস উজ্জ্বল তাঁর রেফারিং ক্যারিয়ারে। ২০০৭ সালে এই পেশায় নাম জড়ানোর পর দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে নারীদের ফুটবল ফাইনালে। এ বছর কার্ডিফে বাঁশি বাজিয়েছেন নারীদের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও। আগামীকালের উপলক্ষটা আরো বড়। বুন্দেসলিগায় হার্থা বার্লিন-ওয়ের্ডার ব্রেমনের ম্যাচে সব কিছু ভালো হওয়ার প্রত্যাশাতেই এখন স্টিয়েনহস, নারীর মুখে বাঁশি দেখে শুরুতে অবাক হতে পারেন কেউ কেউ। আমি নিশ্চিত এরপর সবাই মনোযোগ দেবে মাঠের ফুটবলে। আশা করছি, প্রথম ম্যাচটি শেষ করতে পারব ভালোভাবে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭ ১:৪৯ অপরাহ্ণ