চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম মহানগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় এক স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে তার স্বামীকে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় স্ত্রী সন্তানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে পুলিশ খুনের শিকার তৈয়ব আলীর (৫২) লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। তৈয়ব আলী স্থানীয় একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী।
সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মর্জিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বস্তাভর্তি অবস্থায় তৈয়ব আলীর লাশ নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে (রশিদ বিল্ডিং এর কাছে) রাস্তার ড্রেনে ফেলার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ প্রথমে নিহতের ছেলে মো. সোহেল (১৯) এবং লাশ বহনকারী রিকশা চালককে (অজ্ঞাত) আটক করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোহেলের মা কোহিনুর বেগম (৩৮), খালা জাহানারা বেগম (৪১) ও বোন বৃষ্টিকে (১৭) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক বিরেধের জেরে ৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ভাঙারি দোকানি প্রতিবন্ধী তৈয়ব আলীকে পশ্চিম মাদারবাড়ি টং ফকির মাজার এলাকার ভাড়া বাসায় মা-ছেলে ও তাদের খালা মিলে কাঠ দিয়ে আঘাত ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তায় ভরে একদিন বাসায় রেখে দেয়। শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে লাশ গুম করার জন্য একটি রিকশা নিয়ে বের হয় সোহেল। ওসি জানান, তারা পশ্চিম মাদারবাড়ি থেকে কিছুদূর গিয়ে স্ট্যান্ডরোড পশ্চিম মাদারবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের পাশে ড্রেনে বস্তাভর্তি লাশটি ফেলার সময় আশপাশের কয়েকজন স্থানীয় দেখে ফেলে। স্থানীয়রা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ থাকে।
এতে লোকজনের সন্দেহ হলে বস্তা তুলে দেখে এর ভেতরে লাশ রয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল তার মা-খালা মিলে তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি