২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৫৬

বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এক বছরের সময় চেয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে কার্যালয় সরাতে আদালতের কাছে আরও এক বছর সময় চেয়েছে। শনিবার দুপুরে বিজিএমইএ ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়ে বলেন, ‘লাখ লাখ শ্রমিকের কথা বিবেচনা করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এক বছরের সময় চেয়েছি। আদালত তা গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করছি।’ ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা রায় ঘোষণার প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি ভবন নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে চলে যাব। আর সরকারের দেওয়া জমিতে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। তবে নতুন ভবনটি হতে আরো এক বছর সময় লাগবে। তাই আমরা আদালতের কাছে এক বছর সময় চেয়েছি।’ ‘রাজধানীর উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে ১৭ নম্বর সেক্টরে পাঁচ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে বিজিএমইএর নতুন ভবন। ইতিমধ্যে ভবনের মূল পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এক বছরের মধ্যে অফিস চালানোর মতো অবস্থা হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এদিকে ১১ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য উচ্চ আদালতের বেধে দেওয়া সময়। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ভবন ভাঙতে এক বছরের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করে। এর আগে আপিল বিভাগ গত ১২ মার্চ ছয় মাসের সময় দেন। বিজিএমইএ এর তিন বছরের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই দিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ ভবন ভাঙতে ছয় মাস সময় দেন। বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলতে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিজিএমইএ রিভিউ আবেদন করে। আবেদনে আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তিন বছরের সময় চাওয়া হয়।

গত বছরের ৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। গত ২ জুন বিজিএমইএর কর্তৃপক্ষের করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ চার সদস্যের বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১১ সেপ্টেম্বর।

জমির মালিকানা না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল ভবনটি ভেঙে ফেলতে রায় দেন। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর ওই বছর ২১ মে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭ ১২:৩২ অপরাহ্ণ