স্বাস্থ্য ডেস্ক:
যখন আমরা ওজন কমাতে মনস্থির করি, তখন প্রথমেই চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করে তরল খাবারের দিকে ঝুঁকে যায়। কারণ তরল জাতীয় খাবার চর্বি কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু ওজন কমানোর এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় সবসময় পানীয় জাতীয় খাবারে আমরা বিরক্ত হয়ে যাই। চাইলে নিজেই বিভিন্ন ধরনের পানীয় তৈরি করতে পারেন, যেগুলো তৃপ্তি সহকারে পান করতে পারেন এবং খুব সহজে ওজনও কমতে আপনার।
লেবু ও মধু পানি: লেবু ও মধু মেশানো পানি ওজন কমানোর পুরনো ট্রিক। ওজন কমাতে এটি বেশ কার্যকর। লেবুতে থাকে অ্যাসিডিক উপাদান ও মধুর রয়েছে ঠাণ্ডা গুণ। ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন সকালে পান করতে পারেন এই মিশ্রণটি।
কফি ও লেবু: ওজন কমানোর পন্থা হিসেবে ক্যাফেইন বেশ জনপ্রিয়। কফি পানের আগে এক টুকরো লেবু এতে দিন। অথবা লেবুর রস মেশাতে পারেন। এটি দ্রুত পরিপাকে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি ও পানি: স্ট্রবেরি ফলে থাকা ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং উচ্চমাত্রায় এন্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য উপাদান ওজন কমাতে অসাধারণ কাজ করে। নরমাল পানি পানে অনেকেরই অনীহা থাকে। পানিতে কিছু পুদিনা ও স্ট্রবেরির ফালি মিশিয়ে নিন। তৃপ্তিসহকারে পান করে ঝেড়ে ফেলুন অতিরিক্ত ওজন।
হলুদ ও দুধ: শুধু ঠাণ্ডার জন্যই নয়, হলুদ মিশ্রিত দুধ শরীরের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে নমনীয় করে তোলে।
আদা-লেবু মিশ্রিত পানি: পেটের চর্বি কমাতে আদা বেশ উপকারী। এতে জিঞ্জারোলস, বিটা ক্যারোটিন, ক্যাফেইক অ্যাসিডসহ প্রদাহনিরোধক উপাদান এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
জিরা পানি: জিরা পানি শরীরে তাপ উৎপাদন করে। প্রতিদিন এক চা-চামচ জিরার বিচি পানিতে সেদ্ধ করে পান করুন। জিরা পানি খেতেও যেমন টেস্টি তেমনি ওজনও কমায়।
অ্যালোভেরার জুস: বাজারের বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। এগুলো পরিহার করাই ভালো। বাড়িতেই অ্যালোভেরার জুস তৈরি করে নিন। অ্যালোভেরাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ থাকে। এটি ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী।
আপেল সিডার ভিনেগার: আপেল সিডার ভিনেগারে প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে। এটি শরীরে স্বাস্থ্যের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কুসুম গরম পানি মিশিয়ে পান করুন।
দারুচিনি ও আপেল: আপেল সমৃদ্ধ আঁশযুক্ত ফল। আর দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। চায়ের সঙ্গে অথবা পানিতে মিশিয়ে নিন। সারাদিন অল্প অল্প করে পান করতে পারেন।
খেজুর ও কলা: স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী। কলা ও খেজুর একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এর সঙ্গে বাদাম দুধ ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
ফলের জুস: আপেল, বিট পালং এবং গাজর দিয়ে তৈরি জুসে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরে পুষ্টি জোগায়। খালি পেটে এই জুস খেলে শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্যালরি ক্ষয় করে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি