আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা যোদ্ধাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা’র পক্ষ থেকে রাখাইন রাজ্যে সাময়িক অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এই অস্ত্রবিরতি এক মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আরসা জানিয়েছে, রোববার থেকেই এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে। একতরফা এই অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পাশাপাশি সংগঠনটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকেও তা পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর রোহিঙ্গা যোদ্ধারা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বড় ধরনের হামলা চালায়। এর জেরে নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের আবাসে অভিযানের নামে ধংসযজ্ঞ চালায়। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ হত্যা ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের কবল থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আর রাখাইনে সহস্রাধিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে আরসা’র বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সংগঠনটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি সংঘাত ভয়াবহ রূপ নেয়ায় জাতিসংঘসহ অন্তত ২০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা মিয়ানমারে ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিতে বাধ্য হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় অনেকে খাবার ও বাসস্থান সংকটে ভুগছেন।
বিবৃতিতে আরসা জানায়, ‘মানবিক দিকের বিষয়টি সবসময় উৎসাহিত করে আরসা। অসহায় প্রতিটি মানুষের এখন এই সহায়তা প্রয়োজন। সে কারণেই আমরা অস্ত্রবিরতিতে যাচ্ছি।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

