নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের প্রতিটি স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টারে কর্মস্থলমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কোরবানির ঈদের সপ্তম দিন শনিবার সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা যায়। দুপুরের দিকে যাত্রীদের ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এদিকে রাস্তায় যানজটের কারণে গাড়ি আসতে দেরি হওয়ায় কাউন্টারে ও রাস্তায় অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো যাত্রী। সিরাজগঞ্জ থেকে লোকাল কোচসহ ৬টি কাউন্টার কোচে প্রায় একশ গাড়ি রীতিমত ঢাকার পথে চলাচল করছে।
ঈদ শেষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য অফিসমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালে। অনেকে টিকিট না পেয়ে বাস ও ট্রেনের ছাদে ছুটে চলেছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। অপরদিকে গতবারের মতো এবারও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে বাস কোম্পানিগুলো এমন অভিযোগ যাত্রীদের। কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার তাগিদে মানুষ বেশি টাকা দিয়েই টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকের ভাগ্যে সে টিকিটও জুটছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে কাউন্টারে।
ঢাকামুখী যাত্রী বিনা খাতুন জানান, জনপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। কাউন্টারগুলো ভাড়া ২৫০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, কাউন্টারে ২ ঘণ্টা ধরে বসে আছি। কোনো গাড়ি নেই। কাউন্টার ম্যানেজার বলছে গাড়ি আসছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি।
বাসযাত্রী গার্মেন্টস কর্মী আসাদুল বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি এসেছিলাম। যে টাকা এনেছিলাম প্রায় কেনাকাটার কাজে খরচ করে ফেলেছি। এ অবস্থায় বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকা ফেরা খুব কষ্ট হচ্ছে। তাও টিকিট পাচ্ছি না।’
অভি এন্টারপ্রাইজের মালিক শিমুল বিশ্বাস জানান, সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী যাত্রী থাকলেও সিরাজগঞ্জমুখী যাত্রী না থাকায় ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, রাস্তায় যানজটের কারণে গাড়িগুলো ফিরতে সমস্যা হচ্ছে। একারণে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এসআই এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী হাজী আলতাব হোসেন জানান, বছরে দুইটি ঈদে আমরা কিছু লোকসান পুষিয়ে নিতে পারি। ভাড়া কিছু বেশি নিলেও যাত্রীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, রাস্তায় ধীরগতির কারণে গাড়ি আসতে পারছে না। এজন্য কাউন্টারে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যাত্রী চাপের কথা চিন্তা করেই ঢাকাগামী বাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঈদের মৌসুমে একটু সমস্যা হবেই। তারপরেও আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি সকল যাত্রীকে সময় মতো পৌঁছে দিতে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ