২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:৫৯

কাঁঠালবাড়ী ঘাট হয়ে ঢাকামুখী মানুষের ঢল

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

ঈদে ঘরমুখী মানুষ ফিরতি যাত্রায়ও কষ্ট করছেন। ঢাকামুখী মানুষ নাব্যতা সংকটে ফেরি পারাপার কমে যাওয়ার কারণে প্রধান দুটি ফেরিঘাটে আটকে যাচ্ছেন। উত্তরের মানুষের ঢাকায় আগমন বগুড়ায় সেতুতে ফাটল কঠিন করে তুলেছে। ঘরমুখী মানুষ ঈদের আগে ধীরগতির কারণে উত্তরের পথের যাত্রায় কষ্ট করেন। সে সময় দুই ফেরিঘাটেও দুর্ভোগ হয়।এখন ফিরতি যাত্রাতেও একই অবস্থা।

গতকাল শুক্রবার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে  নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি পারাপার ব্যাহত হওয়ায় তীব্র জট দেখা দেয়। এ সুযোগে স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়েছে লঞ্চেও। এদিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের যাত্রীরা বগুড়ার মহাস্থানগড়ে ফাটল ধরা সেতুটিতে একমুখী পারাপারের কারণে তীব্র যানজটে পড়েন। এই পথের টাঙ্গাইল অংশেও ধীরগতি ছিল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও জট ছিল না।

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নদী খননের নামে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এরপরও নাব্যতা সংকট বোধগম্য নয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘাট ইজারা দিয়ে ও নৌ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিলের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা আদায় করছে। কিন্তু ঘাটে আটকে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। সড়কেও বিপুল টাকা খরচ করে মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। এর দায় কাউকে না কাউকে তো নিতে হবে।

ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মহাস্থানগড়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২৫-৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তৈরি হয়। একপর্যায়ে জট সেতুর উত্তর পাশ থেকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। শ্যামলী পরিবহনের চালক আব্বাস উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি গাইবান্ধা থেকে রওনা দেন। সারা রাত জটে আটকে সকালে তিনি মহাস্থান সেতু পার হন। স্বাভাবিকভাবে এ পথ পার হতে সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা লাগে।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে ঘাটের ২০টি ফেরির মধ্যে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে সাতটি ফেরি চলছে। বাকি ১৩টি ঘাটে অলস পড়ে আছে। কিছু পথ একমুখী হওয়ার কারণে ফেরিগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এতে পারাপারে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ সময় বেশি লাগছে। এর জন্য ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি হচ্ছে। এই অবস্থা চলছে ঈদের পরদিন থেকে। যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে স্পিডবোটে চলাচল করছেন। অভিজিৎ কর্মকার নামের এমন একজন বললেন, ভাড়ার তালিকায় লেখা ১২০ টাকা। নেওয়া হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে গতকাল গাড়ির তীব্র চাপ তৈরি হয়। এদিন বিকেল নাগাদ গাড়ির সারি ৮ কিলোমিটার থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।যানচালকেরা ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। দীর্ঘ পথ হেঁটে ঘাটে যান যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ পরিহার করে অনেক গাড়ি এদিকে আসায় চাপ বেড়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৭ ১২:০৪ অপরাহ্ণ