আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তুরস্ক মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য ১ হাজার টন ত্রাণ সাহায্য পাঠাচ্ছে। মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের মুখপাত্র কালিন এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাখাইনে আটকে পড়া মুসলিম রোহিঙ্গাদের জন্য এই ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে।’ খবর আনাদুলো এজেন্সির। লিখিত বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচির সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ফোনালাপের পর মিয়ানমার সরকার রাখাইনে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। ফলে সংঘাতপূর্ণ রাখাইন রাজ্যের উদ্দেশে ১ হাজার টন ত্রাণ নিয়ে টিকা’র (তার্কিশ কোঅপারেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন এজেন্সি) প্রতিনিধি যাবেন। এর ফলে টিকাই হতে যাচ্ছে প্রথম কোনো সাহায্যকারী সংস্থা, যারা সংঘাতপূর্ণ রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি পেল।
গত ২৪ আগস্ট মধ্যরাতের পর থেকে রাখাইনে সংঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে সেখানে জাতিসংঘসহ কোনো আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রবেশ করতে দেয়নি। তুরস্ক সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিলিটারি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে সাহায্য পাঠানো হবে। জরুরি সাহায্যের মধ্যে আছে চাল, শুকনো মাছ ও কাপড়। তুরস্ক স্থানীয় সরকারের সহায়তায় রাখাইন রাজ্যে জরুরি ত্রাণ, খাবার, পোশাক ও ঔষধ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলেও বিবৃতে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসুগলোর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বুধবার ঢাকা এসে মিয়ানমার সীমান্তের নিকটবর্তী কক্সবাজার জেলা পরিদর্শন করবেন। সেখানে বিগত ১২ দিনে আশ্রয় নেওয়া ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজখবর নিবেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে এক লাখ পরিবারকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা দেবে তুরস্ক।
গত ২৪ আগস্ট কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে রোহিঙ্গাদের মুক্তিকামী সংগঠন আরসা’র হামলার পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি কড়া প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু করে। গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়। মিয়ানমার সরকারের তরফ থেকেই স্বীকার করা হয়েছে, অন্তত ২ হাজার ৬২৫টি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি