নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের অন্যতম ব্যস্ততম শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের নাব্য সংকট ও ডুবোচর প্রকট রূপ ধারণ করেছে। আরও একটি ফেরি ডুবোচরে আটকে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে ১২টি ফেরি। এতে ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখো হাজার হাজার যাত্রী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। পদ্মায় দুটি চায়না ড্রেজিং দিয়ে খনন কাজ চলছে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে ড্রেজিং ব্যাহত হচ্ছে। উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। একাধিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে। কাঁঠালবাড়ির ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চ ও স্পিডবোটে ছিল যাত্রীদের ভিড়। তবে পদ্মায় নাব্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় এদিনও প্রায় বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল।
বুধবার সকালে কেটাইপ ফেরি ফরিদপুর শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসার পথে বিকল্প চ্যানেলের টার্নিংয়ে ডুবোচরে আটকে পড়ে। এর আগে ফেরি রায়পুরা দুই দিন ধরে ডুবোচরে আটকে রয়েছে। পাঁচ দিন ধরে উচ্চ ড্রাফটের চারটি রো রো ফেরি, একটি কেটাইপ ফেরি ও দুদিন ধরে সাতটি ডাম্ব ফেরি বন্ধ রয়েছে। অন্য সাতটি ফেরি কোনোরকমে হালকা যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পুলিশ ফিরিয়ে দিলেও ঘাটে যেসব হালকা যানবাহন ঘাটে আসছে সেগুলোও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকছে। এতে বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
এদিকে ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের ভিড় বেড়েই চলেছে ঘাটে। অনেকে নিরূপায় হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিটবোর্ডে নদী পার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট সহকারী ম্যানেজার মমিনউদ্দিন বলেন, পদ্মায় নাব্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় বেশ কয়েকটি ফেরি বন্ধ রয়েছে। কয়েকটি ফেরি দিয়ে কোনোরকম হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সংকট সমাধানে বিআইডব্লিউটিএ নদীতে ড্রেজিং চালিয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ