নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কিছু সংখ্যক অসাধু বালু ব্যবসায়ী ১শ’ ২০ ফুট মাটির নিচ থেকে মেশিনের সাহায্যে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। এতে এলাকার আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থানের মাটি ধসে যাচ্ছে। এ বিষয়টি জানানোর পরও প্রশাসনের ভূমিকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গ্রামের আব্দুর রহিম জানান, প্রতিদিন ৫০ জন শ্রমিক মেশিনের সাহায্যে মাটির নিচ থেকে বালু তোলার কাজ করেন। এতে তারা জনপ্রতি তিনশ টাকা হাজিরা পান।
তিনি আরো জানান, তারা মাটির ১শ’ ২০ ফুট গভীর থেকে বালু তোলেন। চন্ডিপুর গ্রামের রেজাউল করিম, ফেরদৌস আলম, আব্দুল জলিল ও আবুল কালাম মহাজনের অধীনে তারা এই বালু তোলার কাজ করেন।
একই গ্রামের আব্দুল হান্নান বলেন, ভূগর্ভ থেকে বালু তোলার পাশাপাশি কাটাখালী নদী থেকেও বালু তুলছে মহাজনরা। এতে বিভিন্ন স্থানে আবাদি জমি ধরে যাচ্ছে।
এব্যাপারে কয়েক মাস ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দফতরে অভিযোগ দিলেও বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাতের কারণে ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক জানান, রেজাউলসহ অন্যান্যরা নদী ছাড়াও সরকারি খাস জমি থেকে বালু উত্তোলন করছেন। তিনি বলেন, ওই স্থানে ভূমিহীনদের জন্য ‘গুচ্ছগ্রাম’ করার প্রস্তাব আছে। এরপরও সেখান থেকে বালু তোলা গুচ্ছগ্রাম বিরোধীতার বর্হিপ্রকাশ। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।
অভিযোগ অস্বীকার করে রেজাউল করিম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই তিনি নিজস্ব জমি থেকে মেশিন দিয়ে বালু তুলছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীলাব্রত কর্মকার বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ অস্বীকার করলেও তিনি বালু উত্তোলন বন্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ