২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১১

আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের ভাসমান আমন ধানের বীজতলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিরোজপুরের কাউখালীতে আমন ধানের ভাসমান বীজতলা তৈরীতে সাফল্য লাভ করেছে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চাষীরা। বন্যার পানি থাকায় বীজতলা করার মত উঁচু জমি পাওয়া না গেলে অথবা পানি নেমে যাবার পর চারা তৈরিতে সময় না থাকলে ভাসমান বীজতলা তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বন্যার পানি, পুকুর, ডোবা বা খালের পানির উপর বাঁশের চাটাইয়ের মাচা বা কলা গাছের ভেলা তৈরি করে দুই/তিন সেন্টিমিটার পুরু কাদার আস্তর দিয়ে বীজতলার মতই বীজতলা করা যেতে পারে।

বীজতলার আকার কলাগাছের আকৃতির উপর নির্ভর করে। তবে চার থেকে পাঁচটি কলা গাছ একত্র করে ভেলা তৈরি করে করাটা সুবিধাজনক। তৈরিকৃত ভেলায় প্রতি বর্গমিটারে ৮০-১০০ গ্রাম অংকুরিত বীজ ফেলতে হবে। পানির উপর ভাসমান থাকার কারণে এরূপ বীজতলায় পানি সেচের দরকার হয় না।
বীজ বপনের ২৫-৩০ দিন পরেই চারা রোপনের উপযোগী হয়ে যায়। এভাবে তৈরিকৃত ১ বর্গমিটার বীজতলার চারা দিয়ে ২০ বর্গমিটার পর্যন্ত রোপন করা যায় অর্থাৎ ১ শতাংশ জমির চারা দ্বারা কমপক্ষে ২০ শতাংশ জমি রোপন করা যায়। এ মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পাঁচটি ভাসমান বীজতলা স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে শংকরপুর গ্রামের চাষী মো. সাবারেক খান বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গৌতম বরণ মজুমদারের পরামর্শে তিনি এই প্রথম ভাসমান বীজতলা স্থাপন করেন। ভাসমান বীজতলায় যে চারা হয়েছে তাতে তিনি ভীষণ খুশি এবং বন্যার কবল থেকে বীজতলাকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতে এধরনের বীজতলা স্থাপন করবেন এবং অন্যদেরকেও অনুপ্রাণিত করবেন।

কাউখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার জানান, পানির উপর ভাসমান থাকা এই বীজ তলার চারা তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে রোপনের উপযোগী হয়।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৭ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ