স্বাস্থ্য ডেস্ক:
বয়স্কদের ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি হতে পারে মানসিক অবসাদের কারণ৷ নতুন এক গবষণায় প্রমাণ হল এমনই এক তথ্য৷ শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করার সঙ্গে থাইরয়েড মানসিক সুস্থতার উপরেও গভীর প্রভাব বিস্তার করে৷
থাইরয়েডের গ্ল্যান্ড কতটা সক্রিয় তা জানার জন্য গবেষকেরা থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনের (টিএসএইচ) মাত্রা পরিমাপ করেন৷ থাইরয়েড গ্লান্ড হল এই হরমোন ক্ষরণের মূল উৎস৷ যখন টিএসএইচ এর মাত্রা কম থাকে তখন থাইরয়েড গ্লান্ড সক্রিয় থাকে এবং এটি প্রচুর পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন করে৷ গবেষকেরা আসল থাইরয়েড হরমোনের মাত্রার পরিমাপও গ্রহণ করেন এবং থাইরয়েডের সক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হন৷ রটারডামের ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক মার্কো মেডিকি জানান, যে বয়স্করা একা থাকে এবং যাদের থাইরয়েডের সক্রিয়তা রয়েছে তারা অন্যান্যদের তুলণায় অনেকবেশি মানসিক অবসাদের শিকার৷ এ থেকে এটাই প্রমাণিত যে, থাইরয়েডের কার্যকলাপের ফলে মানসিক স্থিতির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে রোগী হাইপোথাইরয়ডিসম ও হাইপারথাইরয়ডিসম-এর শিকার হতে পারে৷
এই গবেষণার জন্য গবষকেরা ৭০ বছর বয়সী প্রায় ১,৫০৩ জনকে নিয়ে একটি পরীক্ষা করেন৷ গবেষকেরা এদের প্রত্যেকের টিএসএইচ এর মাত্রা এবং তাদের অবসাদের উপসর্গগুলো পরীক্ষা করেন৷ প্রথম বারের পরিদর্শনে অবসাদের কোনো উপসর্গ দেখা না গেলেও পরবর্তী ৮ বছরে তাদের মধ্যে অবসাদের উপসর্গ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়৷
এই গবেষণায় টিএসএইচ-এর পরিমাণের ভিত্তিতে ব্যক্তিদের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়৷ মেডিকি জানান, এই গবেষণার ফলস্বরূপ দেখা যায়, যাদের মধ্যে থাইরডেয়ের সক্রিয়তার শক্তিশালী প্রভাব দেখা যায় তারা প্রত্যেকেই অস্বাস্থ্যকর মানসিক অবস্থায় রয়েছেন৷ এই গবেষণার ফলে অবসাদের চিকিৎসার একটি নতুন দিশা উন্মোচিত হল৷
সম্প্রতি এই গবেষণাটি এন্ডোক্রাইন সোসাইটির ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজমের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি