টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্তের টাঙ্গাইলের কালিহাতীর গড়িলাবাড়িতে সেতুর গাইড বাঁধের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। শনিবার রাতে গড়িলাবাড়িতে সেতুর গাইড বাঁধ আবারো ১০০ মিটার ধসে গেছে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো গাইড বাঁধটি ধসে যায়। এতে উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী গ্রামের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিস কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বঙ্গবন্ধু সেতু ঘেঁষেই যমুনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সেতু কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ভাঙন হচ্ছে বলে ।
বঙ্গবন্ধু সেতুর দক্ষিণে ভাঙন কবলিত গড়িলাবাড়িতে শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়ায় ভাঙনে সেতুর বাঁধের নতুন করে ১শ’ মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। সেইসঙ্গে গড়িলাবাড়ি, বিনোদ লুহুরিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে ঘরবাড়ি আস্তে আস্তে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। এর আগে ৩ দফায় ভাঙনে সেতুর ২০০ মিটার রক্ষা বাঁধ এবং শতাধিক বাড়ি-ঘর ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকির মধ্যে রয়েছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতু। ভাঙনের শিকার মানুষ জানান, যমুনা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণেই শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এছাড়া ভাঙনরোধে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিসের কর্মকর্তারা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
বাঁধটি দ্রুত মেরামত করা না গেলে একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধু সেতু বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হবে। অন্যদিকে আশপাশের ৭ থেকে ৮টি গ্রাম নদীগর্ভে একেবারেই বিলীন হয়ে যাবে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব সাইট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী ওয়াশিম আলী বলেন, এই ভাঙন মূল সেতুর বাইরে। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধু সেতু ঘেঁষেই যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি এলাকায় সেতুর দক্ষিণে গাইড বাঁধে সেতু রক্ষার্থে যমুনা নদীতে ব্লক ও কার্পেটিং করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। বাঁধ তৈরির মাত্র ১৪ বছর পরেই বিবিএ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সেতুর গাইড বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি