আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গো-রক্ষকরা ঈদুল আযহার দিনে ভারতের ঝাড়খণ্ডে ফের তাণ্ডব চালিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায় গো-হত্যার অভিযোগ তুলে একই ব্যক্তির তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আতঙ্কে এলাকা ছাড়া রহমান মইন নামে সেই মুসলিম ব্যক্তি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার নাইতণ্ড গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা রহমান মইনের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল। গ্রামেই তার তিনটি বাড়ি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শনিবার সকালে ঈদ উপলক্ষে তিনটি গরু কোরবানি দেন রহমান মইন। পরে গ্রামবাসীদের মধ্যে গরুর মাংস বিতরণ করা হয়। আর এতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। রহমান মইনের তিনটি বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। সংঘর্ষে আহত অল্প-বিস্তর আহত চারজন। ঘটনার পর আতঙ্কে পালিয়ে যান রহমান মইন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশকর্মীরাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গিরিডির পুলিশ সুপার অখিলেশ বি ভারিয়ার জানিয়েছেন, রহমান মইনের বাড়ির থেকে গরুর মাংস ও হাড় উদ্ধার হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এবছর ঈদের আগে গো-হত্যায় নিষেধাজ্ঞা কথা জানিয়ে রাজ্য জুড়ে জোর প্রচার চালিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকার। তবে ঝাড়খণ্ডে গরু নিয়ে হিংসা ঘটনায় অবশ্য এই প্রথম নয়। গত ৩০ জুন রামগড়ে গো-মাংস বহন করার অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠে। ঘটনায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতা-সহ তিন গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি