আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতনে প্রায় ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনাকে মানবিক বিপর্যয় উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ।
তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা-নির্যাতন বন্ধ করে অভিযান থেকে সরে আসতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান। খবর- আল জাজিরার।
রোহিঙ্গা নির্যাতন-হত্যাকে এ বছরের সহিংসতার সবচেয়ে খারাপ নজির উল্লেখ করে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
গুতেরেজ বলেন, মিয়ানমার সরকারের দায়িত্ব দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যেসব এলাকায় সাহায্য প্রয়োজন সেখানে সাহায্য প্রদানকারীদের যেতে দেওয়া। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মহাসচিব।
এরআগে গত বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা মিয়ানমার পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতনে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে।
এদিকে, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে গত এক সপ্তাহে অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭০ জন রোহিঙ্গা, ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, দুজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ১৪ জন সাধারণ নাগরিক রয়েছেন।
রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্মূলের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক আকারে নির্যাতন ও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। বসতবাড়ি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে পুড়িয়ে দেওয়াসহ গণহত্যা ও গণধর্ষণ চালিয়ে আসছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আসছেন। তাদের অনেকেই বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এদিকে, জঙ্গল ও নদীপথে ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে চেষ্টাকালে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এখন পর্যন্ত নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৪০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ