নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমিদের আশ্রয় দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বালাদেশের আমির আল্লমা শাহ আহমদ শফী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বৌদ্ধসন্ত্রাসী ও সরকারি বাহিনী যৌথভাবে সরাসরি হত্যাকা- চালাচ্ছে। বর্তমান হত্যাকা- অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে মর্মান্তিক ও মর্মন্তুদ। বার্মার মগসন্ত্রাসীদের পৈচাশিক আর নির্মমতার কোন নজীর দুনিয়াতে নেই। গত কয়েকদিন থেকে নদীতে ভাসছে মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলমান শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ নারী পুরুষের বিকৃত লাশ। মায়ের সামনে মেয়েকে, মেয়ের সামনে মাকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে নির্বিচারে হত্যা করছে সরকারি বর্বর বাহিনী। তারা মুসলমানদের ঘর বাড়ি, মাদরাসা ও মসজিদগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে, শিশুসহ সব বয়সী মানুষদেরকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারছে। এমনকি জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতেছে। এরা সন্ত্রাসী, খুনি, এরা মানবতার শত্রু।
হেফাজত আমির বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের ভাই-বোন। এরা সন্ত্রাসী নয়, নিপীড়িত অসহায় মজলুম। এদের আশ্রয় দেয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলিম মা বোনদের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলায় মেতে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে সোচ্চার হোন, কুটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করুন। মানবতার শত্রুদের মোকাবিলায় বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও রাষ্ট্রগুলোকে শামিল করুন। রোহিঙ্গা মুসলমানরা মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। এদের সাহায্য করুন। তাড়িয়ে দিয়ে আল্লাহর গজব ডেকে আনবেন না।
আল্লমা শফী বলেন, মুসলমান হওয়াটাই কি আরাকানের নির্যাতিত নাগরিকদের অপরাধ? যে নির্যাতন আজ আরাকান চলছে তার শতভাগের একভাগও যদি কোনও মুসলিম দেশে অমুসলিমদের ওপর করা হতো তাহলে বিশ্বসংস্থা ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের শক্তিধর দেশগুলো এভাবে নীরব ভূমিকা পালন করতো? তাই, আরকানে মুসলিম গণহত্যার উসকানিদাতা অং সান সুচির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস বিরোধী আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর