মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
শিমুলিয়ায় ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাড়ে ৪ শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ট্রাক পরাপার বন্ধ থাকায় ১৯টি ফেরি শুধু যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার পার করছে। এর মধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। তীব্র স্রোত ও বাতাসের কারণে নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ এবং ফেরি স্বাভাবিক গতিতে চলতে না পারায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়াঘাটে এখন যেন তিল ধারণের জায়গা নেই। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, অন্য ঈদগুলোর চেয়ে ভালোভাবেই যাত্রীরা বিড়ম্বনাহীন পারপার হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ দেখা যায়। গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যায় সকল ঘাট পয়েন্টেই। তাছাড়া যাত্রীরা ১৯টি ফেরি, ৮৭ টি লঞ্চ এবং তিনশতাধিক স্প্রিডবোটে করে পাড় হচ্ছেন।যাত্রীরা অভিযোগ তুলেন ঘাট এবং ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে জেলা পুলিশের সাড়ে ছয়শ’ সদস্য কাজ করছেন। তবে ঘাটে পারাপারের ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের। লঞ্চ এবং স্প্রিডবোট অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করছে।
শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, বুধবারের চেয়ে বৃহস্পতিবার উপচে পড়া ভিড় বেশি। নদীতে তীব্র স্রোত ও বাতাস রয়েছে। তারপরও পরাপারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। শিমুলিয়া প্রান্তে সাড়ে ৪ শ’ যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, সার্বক্ষনিক মনিটরিং চলছে। ঘরমুখো মানুষকে নির্বিঘ্নে পারাপারের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বহরে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক ঘাটে রয়েছেন। কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাওয়া মানুষের পথে বিড়ম্বনা সৃষ্টি কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি