নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদের ছুটির আগে শেষ কার্যদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ছিল অনেকটাই ফাঁকা। সকালে অফিস খোলার পর অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী হাজিরা দিয়েই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বেলা সাড়ে ১১টার পর সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে খুব কমসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীকেই টেবিলে দেখা গেছে। সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা কক্ষটিও ছিল ফাঁকা।
জানা গেছে, ঈদের ছুটি শুরুর আগের দিন হওয়ায় বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশেরও কম। এবার ঈদের ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে পড়ে যাওয়ায় অনেকেই হাজিরা দিয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি আর রবিবার একদিনের সরকারি ছুটি পেয়েছেন এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সচিবালয়ের অর্থমন্ত্রণালয়, খাদ্য, তথ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ রুমই ফাঁকা পড়ে আছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাজিরা দিয়েই চলে গেছেন যে যার গন্তব্যে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদের ছুটি কম হওয়ায় অনেকেই বর্ধিত ছুটি নিয়েছেন। একদিনের সঙ্গে অনেকে দুই থেকে তিনদিন পর্যন্তও ছুটি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একজন পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এবার ছুটি কম হওয়ায় অনেকেই ছুটি বেশি নিযেছেন। সঙ্গত কারণেই তাদের ছুটি দিতে হয়েছে। কারণ যার বাড়ি পঞ্চগড়ে তিনি তো একদিনের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে আসতে পারবেন না। তাকে বেশি ছুটি দিতে হয়েছে। এভাবে স্থান, কাল, পাত্র ভেদে ছুটি দেয়া হয়েছে।’ এবার শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। আর রবিবার ঈদের ছুটি। সোমবার যথারীতি অফিস খোলা যাকবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ