নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তিন হেলপার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া ও শামছুল হক পৃথকভাবে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। যারা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তারা হলো- বাসের হেলপার আকরাম, শামীম ও জাহাঙ্গীর। আটক অপর দুজন হচ্ছে- বাসের চালক হাবিব ও সুপারভাইজার সফর। মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের সড়কের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। পরদিন টাঙ্গাইল মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পর শহরের কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ওইদিন পুলিশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তরুণীকে তাদের আত্মীয় জাকিয়া সুলতানা রুপা (২৭) বলে শনাক্ত করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কে চলাচলকারী ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও তিন হেলপারকে আটক করা হয়। পারিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত তরুণী বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স করে ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে এলএলবি শেষ পর্বে পড়াশোনা করছিলেন। পাশাপাশি তিনি ইউনিলিভার বাংলাদেশের শেরপুর অফিসে চাকরি করতেন। ঘটনার আগের দিন তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য শেরপুর থেকে বগুড়ায় যান এবং পরীক্ষা শেষে ওই বাসে ময়মনসিংহ হয়ে শেরপুর ফেরার পথে তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ