২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:৪৯

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন বেড়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: 

কুড়িগ্রামের বন্যার পানি কমতে না কমতেই নদী তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে নদীভাঙন। এখানে বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। শতাধিক পরিবার বন্যার ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই নদী ভাঙনে হারিয়ে ফেলছে সর্বস্ব। নতুন নতুন এলাকা ভাঙনমুখী হচ্ছে। ধরলা নদীর ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের চর কদমতলার ওয়াপদা বাঁধেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। বাঁধটির বিশাল অংশ বিলীন হয়েছে। জেলার রৌমারী, রাজীবপুর ও রাজাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৩ দিনের ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে গৃহহীন হয়েছে ৩ উপজেলার শতাধিক পরিবার। এর মধ্যে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ও নাজিমখান ইউনিয়নের ৩টি গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙন ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভিটেমাটি, গাছপালা ও আবাদি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর বাঁ তীর ঘেঁষে তিস্তার নদীর মূল স্রোতে প্রবাহিত হওয়ার ফলে বাঁ তীরের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতিদেব, তৈয়বখাঁ এবং পার্শ্ববর্তী নাজিমখান ইউনিয়নের সোমনারায়ন গ্রাম পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এখানকার গ্রামগুলো ভাঙনের কবলে পড়ে ক্রমেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। ভিটেমাটি হারিয়ে এখানকার অনেক পরিবার নতুন আশ্রয়ের খোঁজে দিশেহারা হয়েছেন। বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার মনিন্দ্র নাথ বর্মণ জানান, এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ভাঙন ঠেকাতে উজানের দিকে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তার মতে পূর্ণাঙ্গ পদক্ষেপ হাতে নিয়েই কাজ করলে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংখ্যক টি-গ্রোয়েন নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনার কাজ চলছে। এই প্রকল্প চালু হলেই বন্যা তথা ভাঙন ঠেকানো যাবে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :আগস্ট ২৯, ২০১৭ ৪:০৪ অপরাহ্ণ