স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ মিরপুর টেস্ট অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের জন্য ২৬৫ রানের টার্গেট দিয়েছে। মুশফিকুর রহীমের দল প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড নেওয়া দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হওয়ার আগে ২২১ রান করতে পেরেছে। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে এসেছে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৮ রান। অসিদের হয়ে ন্যাথান লায়ন ৮২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় দিনে ১ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে নামা চা বিরতির ঠিক আগে বাংলাদেশ পা হড়কায়। তামিম ইকবালের পর দারুণ খেলতে থাকা মুশফিকুর রহীম আশা দেখাচ্ছিল বড় টার্গেট দেওয়ার। তবে চা বিরতির আগে টাইগাররা ৯ বলের মধ্যে মুশফীক, নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমানকে হারিয়ে ফেলে। দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ মিরপুরের টার্নিং পিচে অস্টেলিয়ানদের অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন । দল দিতে পারল তারচেয়ে ৩৫ রান কম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে মিরাজের তাতে অবদান ২৬ রানের। দলীয় ১৪৩ রানে সাকিব আল হাসানের আউটের পর সাব্বির রহমানকে নিয়ে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম মাঝারি একটি জুটি গড়ে তুলেছিলেন। লায়নের বলে বলে সাব্বির সাথে ভুল বোঝাবুঝি থমকে যেতে হয়। নিজের বলেই ফিল্ডিং করে মুশফিককে ফেরান লায়ন। ১১৪ বলে ৪১ রান করে আউট হন মিস্টার ডিপেন্ডবল।
সাকিব প্রথম ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছিলেন। পরে বল হাতে নেমে ৫ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত এই ম্যাচের তিনিই হিরো। সাকিব যখন আউট হন দলের লিড ১৮৬ হয়েছে। দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ মিরপুরের টার্নিং পিচে অস্টেলিয়ানদের অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তামিমের পর সাকিবের উপরই নির্ভর করছিল বড় টার্গেটের আশা। মঙ্গলবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে অস্ট্রেলিয়ানদের জোড়া সাফল্য এনে দেন স্পিনার ন্যাথান লায়ন। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে (৪) আউট করার পর তার বলে ২ রান করেই ফিরে যান ফর্ম হারানো ইমরুল কায়েস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৬ বলে ০ নিয়ে ফিরেছিলেন এই ব্যাটসম্যান।
তামিম ও মুশফিক চাপ টের পেতে দেননি ৬৭ রানে তিন উইকেট পড়ে গেলেও। তারা চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৬ রান তুলে লাঞ্চে যান। কিন্তু লাঞ্চের পর বিপর্যয়। খেয়েদেয়ে দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন প্যাট কামিন্স। তার ওভারের দ্বিতীয় বলটি হঠাৎ লাফিয়ে উঠে। আচমকা বাউন্সার সামলাতে হতভম্ব তামিমের গ্লাভস ছুঁয়ে উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েডের হাতে জমা হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ানদের জোরালো আবেদনে শুরুতে সাড়া দেননি মাঠের আম্পায়ার আলিম দার। স্মিথ রিভিউ নিয়ে তামিমকে ফেরান। প্রথম ইনিংসে ৭১ রান করা তামিম এবারো সেঞ্চুরি বঞ্চিত। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে ফিরেছেন। সাথে ৭৮ রান এবার। তামিম বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি (২৪) ফিফটির রেকর্ডে অবশ্য হাবিবুল বাশারের পাশে নাম লিখিয়েছেন। আর মুশফিকের সাথে আউট হওয়ার আগে মূল্যবান ৬৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি গড়ে গেছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

