নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার যাত্রীদের অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়াঘাট। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে আসন্ন কোরবানি ঈদে নারীর টানে বাাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিমুলিয়াঘাটে যাত্রীবাহি বাস কম থাকলেও সকাল থেকে প্রাইভেট কারে বা ছোট গাড়ির চাপ বেড়েই চলেছে। এতে ঘাট এলাকায় সকালের দিকে প্রায় ৫শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৯টি ফেরি চলছে এ নৌরুটে। ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহি ও পন্যবাহীসহ ছোট বড় মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী যানবাহনের চেয়ে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যাই বেশি। তবে ফেরি বেশী থাকায় গাড়ির চাপ থাকলেও যাত্রীরা নির্বিঘ্নেই পদ্মা পারি দিতে পারছেন।
তিনি জানান, ২৯ তারিখের পর অর্থাৎ আগামীকাল থেকে পণ্যবাহী ও পশুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ঈদ যাত্রার মানুষদের গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন পার করা হবে। পারাপারের ক্ষেত্রে যাত্রীবাহী পরিবহন গুলোকেই বেশী গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে লঞ্চ ও স্পীট বোর্ট দিয়ে পদ্মা পারি দেয়া যাত্রীদদের সংখ্যাও আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। অপরদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে চলাচলে জন্য ঘাট এলাকায় ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখানে পুলিশের পাশাপাশি আনসার,র্যাব ও কমিউনিটি পুলিশের সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছেন। এসব এলাকায় রয়েছে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান আদালত।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ