নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহাসড়কে কোথাও ভাঙাচোরা নেই, যানজট নেই। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে।’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমন কথা বললেও বাস্তব ছিত্র ভিন্ন। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-আরিচাসহ দেশের প্রায় সবগুলো মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ সারি। কোথাও থেমে থেমে ধীর গতিতে চলছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। এতে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের। একই সাথে রাজধানীমুখি পণ্য ও কোরবানির পশুবাহী ট্রাকগুলোকেও দীর্ঘ সময় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে ৭ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিতে ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে বাসে কুমিল্লা যাচ্ছেন হাসান । সোমবার ভোরে যাত্রা করে মেঘনা-গোমতী সেতু এলাকায় আটকা পড়েন। পরে তাদের বাসটি ১০ মিনিটের পথ পার হয় ২ ঘণ্টায়। এ ছিল সোমবারের চিত্র। এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদের ঘরমুখো মানুষ ও পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা। হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রাতে ওই সড়কে যানজট তৈরি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। ১১টার মধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট সম্পূর্ণ দুর হবে বলে হাইওয়ে পুলিশের দাবি। জানা গেছে, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীবাসীর একটি অংশ আগেভাগেই ছুটছেন বাড়ির পানে। তবে তাদের এ যাত্রাপথ মসৃণ নয়। বাসা থেকে বের হতেই শুরু হচ্ছে দুর্ভোগ। গন্তব্যে ফেরা পর্যন্ত তা অব্যাহত। প্রতিবারই ভোগান্তিকে আলিঙ্গন করতে হয় ঘরমুখো মানুষকে। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস খুব একটা কাজে দেয় না। তবু আপনজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের হাতছানির কাছে সব কষ্টই ম্লান। এমন পরিস্থিতিতে দূরপাল্লার বাসভ্রমণকে স্বস্তিদায়ক করতে বাসচালককে একটি পরামর্শ দিতে পারেন যাত্রীরা। তাহলো শাহ আবদুল করিমের ‘গাড়ি চলে না চলে না,/ চলে না রে, গাড়ি চলে না।/চড়িয়া মানব গাড়ি/ যাইতে ছিলাম বন্ধুর বাড়ি/মধ্য পথে ঠেকলো গাড়ি উপায়-বুদ্ধি মেলে না’- এই গানটি বাজাতে। এতে গানের মুর্ছনায় হয়তো কিছুটা সময়ের জন্য ভোগান্তি ভুলে থাকতে পারবেন সবাই।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ