নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী জান্নাতুল আক্তার জুথিকে (১০) পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে সহকারী শিক্ষিকা নুরজাহান আক্তার মিনুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে পুঠিয়ার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার রাতে ওই শিক্ষিকাকে আসামি করে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে জুথির বাবা জহুরলাল আলী। সেই মামলায় রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকা নুরজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ আগস্ট স্কুল চলাকালে ছাত্রী জুথি শ্রেণিকক্ষে পড়তে না পারার কারণে বেত দিয়ে অমানবিকভাবে পিটিয়ে আহত করে। সেই সঙ্গে পেটানোর বিষয়টি কাউকে জানালে আরো মারধর করার হুমকি দেন।
পরে আঘাতের স্থানে ব্যথার যন্ত্রণা উঠলে দু’দিন গ্রাম্য চিকিৎসা দেওয়া হয় জুথিকে। এতে ব্যথা বাড়তে থাকলে ঘটনার দু’দিন পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে রোববার জুথিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে জুথি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে আসলেও গত ৬দিনেও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শিশুটির বাবা জহুরলাল আলী সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিকভাবে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব ছিল। তারই জের ধরে তার মেয়েকে পিটিয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ